যুবলীগ নেতাসহ আটক ৩
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় এক যুবলীগ নেতাসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন ঘোড়াঘাটের কুশিগাড়ি গ্রামের আব্দুল কালামের ছেলে ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, একই উপজেলার সাগরপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম এবং শিঙ্গরা গ্রামের মাসুদ রানা।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঘোড়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্থানীয় গোলাম মোস্তফার ছেলে মাসুদ রানাকে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার থেকে আটক করা হয়।’
‘আটককৃত তিন জনের সবার বিরুদ্ধে তিনটি করে মামলা রয়েছে। জমিদখল, চাঁদাবাজি, মাদক ও মারামারির ঘটনায় বিভিন্ন সময় মামলাগুলো করা হয়,’ যোগ করেন তিনি।
এর আগে, ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রাম থেকে আসাদুল ইসলামকে এবং ঘোড়াঘাটের কুশিগাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়।’
‘র্যাব তাদেরকে আটক করে রংপুরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে’ উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘এ ঘটনায় হামলার শিকার ইউএনওর ছোটভাই শেখ ফরিদুল মামলা করেছেন।’
দিনাজপুর-৬ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্যে প্রায় আড়াই মাস আগে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
ঘোড়াঘাট আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আটক জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক।’
এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে প্রধান করে গতরাতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
‘ইউএনও ওয়াহিদার শরীরের ডান অংশ প্যারালাইজড হয়ে গেছে’
ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সফল, তবে শঙ্কামুক্ত নন
ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার চলছে
ঢাকায় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে ঘোড়াঘাটের ইউএনও
Comments