গ্রিজমানের চাওয়া, বার্সেলোনাতেই থাকবেন মেসি
বার্সেলোনা ছাড়তে চাইছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়তে চাইছে না। দিন দশেক ধরে এ আলোচনাতেই সরব ফুটবল মহল। তবে দুই একজন বাদে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা এ বিষয়ে নীরব ছিলেন। অবশেষে একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন মেসির সতীর্থরা। এবার ফরাসি তারকা আতোঁয়ান গ্রিজমান জানালেন, মেসিকে বার্সেলোনাতেই দেখতে চান তিনি।
অন্য সবার মতো এ প্রসঙ্গে খুব বেশি জানেন না গ্রিজমানও। আপাতত উয়েফা নেশন্স লিগ নিয়ে ব্যস্ত এ ফরোয়ার্ড। তবে এর আগে ফরাসি টিভি চ্যানেল এমসিক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি প্রসঙ্গে বলেছেন, 'এই ইস্যু নিয়ে আমরাও খবর রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু এটা মেসি ও বার্সেলোনার ব্যাপার। আমরা শুধু আশা করতে পারি, সে থেকে যাবে। যত ঘটনা ঘটছে, এর অল্প কিছু আমরা শুনছি। আসলে এই বিষয়ে আমরা তেমন কিছু জানি না। আপাতত জাতীয় দল নিয়ে মনযোগী।'
গত মঙ্গলবার বুরোফ্যাক্স বার্তায় বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার কথা ক্লাবকে জানিয়ে দেন মেসি। তখন থেকেই নানা গুঞ্জন। সংবাদ আসে ১০ জুনের মধ্যে ক্লাব ছাড়ার কথা জানালে বিনা রিলিজ ক্লজে ছাড়তে পারবেন মেসি। আর চলতি মৌসুম দেরিতে শেষ হওয়ায় মেসির দাবী, সে সময়টা এখন ৩১ আগস্ট।
পরে জানা যায়, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শেষ মৌসুমে রিলিজ ক্লজ কার্যকর হবে না মেসির। অর্থাৎ চাইলে এ মৌসুমে বিনা রিলিজ ক্লজে যেতে পারবেন বার্সা অধিনায়ক।
কিন্তু সব বিষয়ই পুরো উল্টো বলছে বার্সা কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবী, চুক্তি অনুযায়ী রিলিজ ক্লজের পুরো ৭০০ মিলিয়ন পরিশোধ করেই ক্লাব ছাড়তে হবে মেসিকে। এমনকি তাদের সঙ্গে সায় মিলিয়ে একই কথা বলে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। তাতেই জল ঘোলা হয় বেশি। এ কারণে এ সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে আলোচনায় বসে দুই পক্ষ।
কিন্তু সেখানেও ফয়সালা হয়নি। দুই পক্ষই নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন। তবে তাতে সবাই নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় ছিলেন। ফ্রি ট্রান্সফারে ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে কথা বলেন মেসির বাবা। তবে তাকে ক্লাবে রেখে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বার্তোমেউ। এমনকি নতুন করে আরও ২ বছরের জন্য চুক্তি করতে বলেন। এর বাইরে কেবল ৭০০ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করে তবে মেসি ক্লাব ছাড়তে পারবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
এরপর মেসির বার্সেলোনাতে থাকছেন বলে স্প্যানিশ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। মেসির বাবার বরাতে নিউজ প্রকাশ করে তারা। কিন্তু সে বিষয়টি পরে অস্বীকার করেন তার বাবা। তাই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছেই।
Comments