মুঠোয় থাকা ম্যাচ নাটকীয়ভাবে হারল অস্ট্রেলিয়া
জস বাটলার, ডেভিড মালানের ব্যাটে মাঝারি পূঁজি পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই রান তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনা আনেন দুই অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চ। মনে হচ্ছিল বেশ আগেই অনায়াসে জিততে চলেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দুই ওপেনারের পর বিচিত্রভাবে পথ হারায় তাদের ইনিংস। মার্কস স্টয়নিকস শেষ ওভারে কঠিন সমীকরণ মেলাতে রোমাঞ্চ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জেতা হয়নি তাদের।
সাউদাম্পটনের এইজেস বৌলে আচমকা ভোল পালটানো ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ২ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকদের ১৬২ রানের জবাবে ১৬০ রানে থেমেছে তারা। দারুণ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
১৬৩ রানের লক্ষ্য নেমে ফিঞ্চ-ওয়ার্নারের ব্যাট হয়ে উঠে উত্তাল। ওয়ার্নার কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও ফিঞ্চ দ্রুত বাড়াতে থাকেন রান। ওভারপ্রতি দশের কাছাকাছি রান আনতে থাকেন তারা। একাদশ ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পায় ইংল্যান্ড। ৩২ বলে ৪৬ রান করা ফিঞ্চ জোফরা আর্চারে বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ততক্ষণে বোর্ডে উঠে গেছে ৯৮ রান।
এরপর স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে সহজেই এগুচ্ছিলেন ওয়ার্নার। এই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া হারতে পারে তেমন কোন আভাসই তখন ছিল না। ১১ বলে ১৮ রান করা স্মিথকে ফেরান রশিদ খান। এরপরই ঘুরতে থাকে ম্যাচের ছবি। টপাটপ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ করা ওয়ার্নার, অ্যালেক্স ক্যারিরা ফিরে যান।
টপাটপ উইকেট পতনের সঙ্গে থমকে যায় রানের গতিও। তবু শেষ দুই ওভার থেকে জিততে কেবল ১৯ রান দরকার ছিল অসিদের। হালের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা কঠিন বলার উপায় নেই।
ক্রিস জর্ডারেন ১৯তম ওভারে আসে মাত্র ৫ রান, রান আউট হয়ে যান অ্যাস্টন অ্যাগার জিততে শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার। বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান স্টয়নিকস ছিলেন স্ট্রাইকে। টম ক্যারানের প্রথম বল ডট হওয়ার পর দ্বিতীয় বলে ছক্কায় উড়ান তিনি। তৃতীয় বল আবার ডট। শেষ তিন বল থেকে নিতে পারেন আর ৬ রান। ঘাটতি থেকে যায় ২ রানের।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তুলেন জস বাটলার। জনি বেয়ারস্টোকে এক পাশে রেখে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। ৮ রান করা বেয়ারস্টো ফেরার পর ডেভিভ মালান এসে ধরেন হাল। ২৯ বলে ৪৪ করে বাটলার আউট হন অ্যাগারের বলে। মালান করেন ৪৩ বলে ৬৬ রান। বাকি বড় ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে ক্রিস জর্ডানের ব্যাট থেকে। মনমতো বড় পূঁজি না পেলেও তা নিয়ে রোমাঞ্চকর জয় পেয়ে গেল ইয়ন মরগ্যানের দল।
Comments