রিমান্ডে নির্যাতনের দাবি প্রদীপ-লিয়াকতের, র‌্যাবের অস্বীকার

প্রদীপ কুমার দাশ। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে টেকনাফের বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ফোনে কাউকে বলছেন যে তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

দুই মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামিরা অভিযোগ করছেন, র‌্যাব হেফাজতে তাদের সব পোশাক খুলে নেওয়া হয়েছিল, মারধর করা হয়েছে এবং বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

একটি পুলিশের গাড়িতে এই ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, হাতকড়া পরিহিত প্রদীপ ও লিয়াকত  কথা বলছে এবং কেউ একজন ভিডিও ধারণ করছে। ভিডিওতে প্রদীপ-লিয়াকত ‘স্যার’ সম্বোধন করে নির্যাতনের কথা বলছে এবং তাদের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে বলছে। দৃশ্যটি কে ধারণ করেছিলেন বা পুলিশের গাড়িতে তাদের হাতে মোবাইল ফোন কিভাবে এলো তাও পরিষ্কার নয়।

সেখানে প্রদীপ বলছিলেন, ‘স্যার, আপনার এটি দেখতে হবে। তারা বলছে যে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করা হয়েছে এবং র‌্যাব এইসব মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেবে। তারপর তারা আবার আমাদের হেফাজতে নেবে এবং আমাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’

এরপরেই তিনি বেশ কয়েকজন র‌্যাব কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেন এবং বলেন যে আঘাতের চিহ্ন যেন না দেখা যায়, সেজন্য একজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছে।

একইভাবে, লিয়াকত বলেন, ‘স্যার, তারা আমাদের মারাত্মকভাবে আহত করেছে। আপনি মনে হয় র‌্যাবের ডিজিকে আমাদের ছবি দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের দেখতে এসেছিলেন এবং আশ্বাস দিয়েছিলেন যে কিছুই হবে না। কিন্তু, র‌্যাবের এডিজি আমাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন… সারা রাত আমাদের উলঙ্গ করে রেখে জিজ্ঞাস করেছেন কেন আমরা ছবি তুললাম। পরের দিন, আমাদের বৈদ্যুতিক শক দিয়েছে, মারধর করেছে এবং ইনজেকশন দিয়েছে।’

সিনহা হত্যার পর থেকে তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার বিষয়ে প্রদীপসহ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে র‌্যাবের পরিচালক (আইন ও মিডিয়া) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি বলেন, ‘রিমান্ড শেষে আমরা সবসময় গ্রেপ্তারকৃতদের পূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। যদি এমন কিছু হয় তাহলে চিকিৎসকই প্রশ্ন তুলতেন। এমন কিছুই হয়নি।’

দ্য ডেইলি স্টারকে এই র‌্যাব কর্মকর্তা পরামর্শ দেন পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে এটা জানতে যে পুলিশের গাড়িতে এমন ভিডিও কিভাবে করা হলো।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানার সঙ্গে এ বিষয়ে  কথা বলার জন্য বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

1h ago