প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করবে সার্বিয়া
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/netaneyahu.jpg?itok=ZEzFUuCe×tamp=1599307536)
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সার্বিয়া তেলআবিব থেকে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করবে। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণে সার্বিয়া হবে ইউরোপের প্রথম দেশ।
আজ শুক্রবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসরাইলে বেশিরভাগ দেশের কূটনৈতিক দূতাবাসগুলো তেলআবিবে অবস্থিত। কারণ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত জেরুজালেম নিয়ে এসব দেশের অবস্থান নিরপেক্ষ ছিল।
কিন্তু, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। একইসঙ্গে তিনি তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।
গতকাল শুক্রবার ইসরাইলের নেতানিয়াহু সার্বিয়ার এই উদ্যোগের কথা প্রকাশ করে বলেন, ২০২১ সালের জুলাইয়ের মধ্যে সার্বিয়ার দূতাবাস স্থানান্তর হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি এবং সেখানে দূতাবাস স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাই।’
‘এই উদ্যোগে অবদান রাখার জন্য আমার বন্ধু ট্রাম্পকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
এদিকে, সার্বিয়ার এই সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের এক প্রবীণ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে ট্রাম্পের পুননির্বাচিত হওয়ার প্রত্যাশার ‘শিকার হয়েছে ফিলিস্তিন’।’
ফিলিস্তিন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) মহাসচিব সায়েব এরেকাত টুইটে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী উচ্চাকাঙ্ক্ষার শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিন। পুনরায় নির্বাচিত হতে তার দল সব ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে। তা শান্তির পক্ষে যতই ধ্বংসাত্মক হোক না কেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনই একটি উদ্যোগ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইসরাইল চুক্তি। এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নিয়ে নয়।’
Comments