আমিরাত-ইসরাইল শান্তি চুক্তির ‘অঘোষিত লক্ষ্য’ ইরানকে আক্রমণ

ছবি: রয়টার্স

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের শান্তি চুক্তির ‘অঘোষিত লক্ষ্য’ নিয়ে সতর্ক করেছে ইরান। চুক্তির মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি তৈরির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে দাবি করেছে ইরানের সংবাদ মাধ্যম জাদেহ ইরান

ইরান বলছে, সামরিক ঘাঁটি গালফ অঞ্চলে পা রাখতে ও ইরানের আরও কাছাকাছি থাকতে ইসরায়েলকে সাহায্য করবে।

জাদেহ ইরানের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন এসব দাবি করা হয় বলে জানিয়েছে দ্য নিউ আরব

গত ১৩ আগস্ট আমিরাত ও ইসরাইলের চুক্তিতে ঘোষণা না করা হলেও ইরানের সংবাদমাধ্যম জাদেহ ইরানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তির লক্ষ্য যে ‘ভূ-রাজনৈতিক তা স্পষ্ট’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল ও আমিরাতের মধ্যকার শান্তির জন্য চুক্তিটি করা হয়নি। আবুধাবি ও তেল আবিবের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে গোপন সম্পর্ক আছে। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটির বিরুদ্ধে কখনো গুলি বা হুমকিও দেয়নি আবুধাবি।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই চুক্তির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো ইরানকে আক্রমণ করা এবং যৌক্তিকভাবে চুক্তির আওতায় ‘ইরানের মুখোমুখি ইসরাইলের সামরিক ও নিরাপত্তা ঘাঁটি তৈরি হতে পারে।’

এটি ইরানে নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। কারণ, দেশটির বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ তেল ক্ষেত্র, বন্দর ও পারমাণবিক চুল্লি উপকূলের কাছে নির্মিত।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইরানের ভৌগলিক অবস্থানই শান্তি চুক্তি ব্যাপারে ইসরাইলের আগ্রহ বাড়িয়েছে।

বহু বছর ধরে ইসরাইল ও উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানি আগ্রাসন মোকাবিলা করতে নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে। উপসাগরীয় রাজ্য ও ইহুদি রাষ্ট্র উভয়ের জন্যই হুমকি ইরানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে চুক্তি হয়েছে বলে দ্য নিউ আরব জানায়।

ওই চুক্তি ঘোষণার কয়েক দিন পরই সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড সংখ্যক অস্ত্র বিক্রির খবর প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে ছিল এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, রিপার ড্রোন ও ইএ-১৮জি গ্রোলার জেটসসহ আরও শক্তিশালী যুদ্ধ অস্ত্র।

Comments

The Daily Star  | English
Former president Hamid airport CCTV footage

The story of Hamid’s exit

Security footage obtained and analysed by The Daily Star shows that Hamid's car reached the barrier gate of the VIP terminal at 12:46am on May 8

11h ago