নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫

বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। ভেঙে গেছে দরজা-জানালার কাচ। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে আবুল বাশার মোল্লা (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

আবুল বাশার মোল্লার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদরে। তিনি এখানে পশ্চিম তল্লাতে থাকতেন। তার পরিবার মাদারীপুরে থাকে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ২৫ জন হলেন— মসজিদের ইমাম আব্দুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুবায়েদ ফারাজি (৬), মো. নিজাম (৪০), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়েদ (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), রাশেদ (৩০), জয়নাল (৩৮), মাইন উদ্দিন (১২), রাসেল (৩০), বাহাউদ্দিন (৬০), কাঞ্চন হাওলাদার (৪০), নয়ন (২৭), নাদিম আহমেদ (৪০), জুলহাস ফারাজি (৩৫), শামীম (৪৫) ও মোহাম্মদ আলী (৫৫), আবুল বাশার মোল্লা (৫০)

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে ‘গ্যাসের লাইন’ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৪০ জনের মতো দগ্ধ হন। তাদের ঢামেক হাসপাতালে স্থাপিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, ‘মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন চলে গেছে। ওই গ্যাসের লাইনে ত্রুটি থাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।’

আরও পড়ুন:

বেদনাবিধুর নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

মসজিদ কমিটির সচেতনতার মারাত্মক অভাব ছিল: মেয়র আইভী

নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭, আশঙ্কাজনক অনেকে

Comments

The Daily Star  | English

Trump says Indonesia to face 19% tariff under trade deal

This is significantly below the 32 percent level the president earlier threatened

1h ago