সিনহা হত্যা মামলা

কল রেকর্ডিং ‘পায়নি’ তদন্ত কমিটি

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় গঠিত তদন্ত কমিটি হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রায় ৩০ জনের কল রেকর্ডিং পাননি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এটাকে উল্লেখ করা হচ্ছে ‘সীমাবদ্ধতা’ হিসেবে।
সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় গঠিত তদন্ত কমিটি হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রায় ৩০ জনের কল রেকর্ডিং পাননি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এটাকে উল্লেখ করা হচ্ছে ‘সীমাবদ্ধতা’ হিসেবে।

মেজর (অব.) সিনহাকে গুলি করা বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক লিয়াকত এবং টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের কল লিস্ট পেয়েছে।

কল লিস্ট হাতে পেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা কল রেকডিং পাননি।

যোগাযোগ করা হলে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা তদন্ত প্রতিবেদনে এটিকে একটি ‘সীমাবদ্ধতা’ হিসেবে উল্লেখ করবেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (এডিসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা যদি রেকর্ডিংগুলো পেতাম তাহলে তদন্ত আরও ভালো হতে পারত। আমরা হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কিছু খুঁজে পেতাম। তবে আমরা এটিকে সীমাবদ্ধতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনটি জমা দেব।’

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওসি বেশ কয়েকটি কল করেছেন এবং ধরেছেন। একজন ওসি অনেকের সঙ্গেই কথা বলতে পারেন, তবে কথোপকথনের বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ।’

গতকাল যোগাযোগ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। আমরা তদন্তে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা সহায়তা দিয়েছি।’

গত শুক্রবার এডিসি মিজানুর রহমান কক্সবাজারে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, তারা রোববার প্রতিবেদন জমা দেবেন। সেসময় তিনি আরও বলেছিলেন যে তদন্ত কমিটি এই ঘটনার সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত ৬৮ জনের সঙ্গে কথা বলেছে এবং তাদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। তাদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে তারা সর্বসম্মতভাবে প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করেছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি ৬ সেপ্টেম্বর (আজ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। প্রতিবেদনে দেখা যাবে যে কেন ঘটনাটি ঘটেছে এবং এর জন্য কারা দায়ী।’

ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে সুপারিশ থাকবে বলে তিনি যোগ করেন।

এই হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি জানান, বিচারাধীন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তাও এতে কাজ করছেন। হত্যার জন্য কে দায়ী, সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি আরও জানান, কেবলমাত্র আদালতেরই দোষীদের সাব্যস্ত করা এবং সাজা দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে।

তদন্ত কমিটির এই প্রধান বলেন, আদালত যদি প্রয়োজন মনে করেন, তবেই কেবল তদন্ত প্রতিবেদনটি ব্যবহার করতে পারেন।

গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এই তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কমিটির অপর তিন সদস্য হলেন- কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি লেফটেনেন্ট কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিদর্শক জাকির হোসেন খান।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago