বিক্রি তালিকায় এখনো এগিয়ে সালমান শাহের সিনেমা
এখনো বেঁচে আছেন সালমান শাহ। তুমুল জনপ্রিয়তায় ভক্তদের মাঝে তার বসবাস। মৃত্যুর দীর্ঘ ২৪ বছরেও সমান দর্শকপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন তিনি।
ফ্যাশনে আধুনিকতায়, অভিনয়ের গভীরতায় অনেক এগিয়ে সালমান শাহ। সিনেমা প্রেমী মানুষের মনের খুব ভেতরে তার বসবাস। বাংলাদেশের প্রতিটা চলচ্চিত্র উৎসবে সালমান শাহ এক অবধারিত নাম। তার অভিনীত ছবিগুলো প্রতিটা উৎসবের অংশ হিসেবে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়।
ঈদ উৎসবে সাতদিন ধরে চলে তার ছবিগুলো। একই ছবি ঘুরেফিরে দর্শকরা দেখেন। তবুও তাদের দেখার তৃষ্ণা মেটে না। টেলিভিশনের পর্দায় ছবিগুলো দেখতে দেখতে কারো কারো চোখ ভিজে ওঠে, চকচক করে অবাক বিস্ময়ে।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তরুণ নায়কদের আদর্শের শীর্ষ নাম সালমান শাহ। এতো বছর পরেও টেলিভিশনে বিক্রির তালিকায় এগিয়ে আছে ’৯০ দশকের এই নায়কের সিনেমাগুলো।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর অমর এই নায়কের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
সালমান শাহ তার অভিনয় জীবনে সর্বমোট ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ তার প্রথম ছবি। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটিতে তার বিপরীতে ছিলেন মৌসুমী।
সালমান শাহ অভিনীত অন্যান্য সিনেমাগুলো হলো- ‘তুমি আমার’ (শাবনূর), ‘অন্তরে অন্তরে’ (মৌসুমী), ‘কন্যাদান’ (লিমা), ‘জীবন সংসার’ (শাবনূর), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (শাবনূর), ‘সুজন সখী’ (শাবনূর), ‘বুকের ভেতর আগুন’ (শাবনূর), ‘এই ঘর এই সংসার’ (বৃষ্টি), ‘স্নেহ’ (মৌসুমী), ‘বিচার হবে’ (শাবনূর), ‘প্রেমযুদ্ধ’ (লিমা), ‘মহামিলন’ (শাবনূর), ‘তোমাকে চাই’ (শাবনূর), ‘বিক্ষোভ’ (শাবনূর), ‘আশা ভালোবাসা’ (শাবনাজ), ‘মায়ের অধিকার’ (শাবনাজ), ‘আঞ্জুমান’ (শাবনাজ), ‘আনন্দ অশ্রু’ (শাবনূর), ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ (শাহনাজ), ‘প্রিয়জন’ (শিল্পী), ‘শুধু তুমি’ (শ্যামা), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (শাবনূর), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (শাবনূর), ‘দেনমোহর’ (শাবনূর) ও ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (শাবনূর)।
সালমান শাহ অভিনীত সর্বাধিক ১৪টি সিনেমায় নায়িকা ছিলেন শাবনূর।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মায়ের নাম নীলা চৌধুরী।
১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট তিনি বিয়ে করেন সামিরাকে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সিনেমা প্রেমী মানুষদের কাঁদিয়ে পরপারে চলে যান সালমান শাহ। থমকে যায় বাংলা সিনেমার একটি অধ্যায়।
Comments