পাবনায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬ জনসহ আহত ১৫
পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাটিকয়া গ্রামে গতকাল রোববার বিকালে একটি জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় মোট আহত হয়েছেন ১৫ জন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করেছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভাটিকয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা খাইরুল মাস্টারের সঙ্গে একই গ্রামের রানিনগর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমানের মধ্যে এলাকার একটি জলাশয়ের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে একপক্ষ রোববার বিকালে জলাশয়ে মাছ ধরতে গেলে দ্বিতীয়পক্ষের সঙ্গে কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। দুই পক্ষই লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র এবং বন্দুক নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
ওসি জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে ভাটিকয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিব (২৭), শাহাদত হোসেনের ছেলে রাজিব খান (৩০), মৃত মানিকের ছেলে উজ্জল (৩২), আবদুল বাতেনের ছেলে রায়হান (৩২), মো. হোসেনের ছেলে জিন্নাহ সর্দার (২৭), হাসেন আলীর ছেলে সেলিম (২৬), শাহিন (২৪) ও শাকিব (২০), ইব্রাহিমের ছেলে রফিকুল (৩২), মৃত ইদ্রিসের ছেলে রাশু মেম্বর (৪০), আব্দুল মতিনের ছেলে পেয়ারা ( ৩৮), মৃত হাকিমের ছেলে আমজাদ (৩২) ও সিদ্দিক খানের ছেলে আমির (৩৩) হোসেনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, সুজানগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘ইতোপূর্বে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা করে দেওয়া হলেও তা না মেনে মাছ ধরতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি যোগ করেন।
Comments