পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে ব্যবস্থা
দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে এবং আমদানিও স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজের সংকট বা মূল্য বৃদ্ধির কোনো সঙ্গত কারণ নেই। পেঁয়াজের অবৈধ মজুদ বা কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে সরকার আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গতকাল রোববার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনাকালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বৈঠকে পেঁয়াজের মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে আরও বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হয়েছে। পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অবিলম্বে খোলা বাজারে ট্রাকসেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করবে। যা নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্কহার পুননির্ধারনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইপি ও কোয়ারেন্টাইন বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া, অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে দেশব্যাপী বাজার মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসানসহ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা।
Comments