ময়মনসিংহে রাজ্জাক ফকির হত্যা মামলা: হাইকোর্টে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

ময়মনসিংহের আবদুর রাজ্জাক ফকির হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির তিন জনের শাস্তি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহের আবদুর রাজ্জাক ফকির হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির তিন জনের শাস্তি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাজাপ্রাপ্তদের দায়ের করা আপিলে শুনানি ও মামলার ডেথ রেফারেন্স (ট্রায়াল কোর্টের নথি) শুনানির পর আজ সোমবার বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট মামলার আসামি মীর জাহান, এমদাদুল হক ও আনিসুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন এবং জিয়াউল হকের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ ও এস এম শাহজাহান দণ্ডপ্রাপ্তদের পক্ষে এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন।

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মধুপুর বাজারের তালতলা গ্রামের মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক ফকির (৩২) ২০০৮ সালের অক্টোবর ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় তার বড় ভাই হযরত আলী ফকির তারাকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার বিবৃতি অনুসারে, ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ শহরে যাওয়ার পথে আবদুল রাজ্জাক ফকিরকে ছিনতাই করে আসামিরা। তারা রাজ্জাককে ছুরিকাঘাত করে এবং তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। রাজ্জাক ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ছিনতাইকারী এই দলটির সবাই পালিয়ে গেলেও, স্থানীয়রা ধাওয়া করে মীর জাহানকে ধরে ফেলে এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে জাহান আরও তিন জনের নাম প্রকাশ করলে, তাদেরকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৫ সালের ৪ মে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত আবদুর রাজ্জাক ফকির হত্যা মামলায় চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

Comments