সীমান্তে ‘উসকানিমূলক’ গুলি চালিয়েছে ভারত: চীন
ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধভাবে বিতর্কিত সীমান্ত অতিক্রম’ ও টহল দেওয়ার সময় ‘উসকানিমূলক’ গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে চীন।
বিবিসি জানায়, চীনা সেনারা ‘পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে’ বলে দাবি করেন চীনের একজন সামরিক মুখপাত্র। কিন্তু, পাল্টা ব্যবস্থাটা কী ছিল, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।
গত সপ্তাহে চীনা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা থেকে পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণের অভিযোগে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
গতকাল মধ্যরাতে গত ৪৫ বছরে প্রথমবারের মতো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সর্তকতামূলক গুলি চালানো হয়েছে।
চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল জাং শুইলির বরাতে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনারা ‘অবৈধভাবে প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরের শেনপাও পাহাড়ি অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) পার হয়েছেন।’
কর্নেল জাং বলেন, ‘ভারতের এই ধরনের কর্মকাণ্ড উভয় পক্ষের মধ্যকার চুক্তিগুলো গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে, এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে... যা সেখানকার প্রকৃতির জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
ভারতকে ‘অবিলম্বে বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড বন্ধ, এলএসি পার হওয়া সেনাদের প্রত্যাহার এবং গুলি চালানো সেনাদের শাস্তি দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন পিএলএর মুখপাত্র।
ভারতের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
চীন ও ভারতের মধ্যে ১৯৯৬ সালের সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) কোনো দেশই আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক বহন করতে পারবে না। তবে, সীমান্তে দুই দেশের সৈনিকদের মধ্যে অতীতেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহতের পরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।
আগস্ট মাসে চীনের বিরুদ্ধে সপ্তাহে দুইবার করে সীমান্ত এলাকায় সামরিক উত্তেজনা তৈরির অভিযোগ করেছে ভারত।
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে সীমান্ত অস্থিরতার জন্য ভারতেই দায়ী করে চীন।
আরও পড়ুন:
লাদাখ সীমান্তের কাছে ২টি নতুন রানওয়ে নির্মাণ করছে চীন
Comments