অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক, সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চিন্তা

অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে নেওয়া হতে পারে সিঙ্গাপুরে।
faruk
অভিনেতা ফারুক। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে নেওয়া হতে পারে সিঙ্গাপুরে।

অনেক দিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত আছেন চলচ্চিত্রের নন্দিত এই অভিনেতা। গত ১৮ আগস্ট রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। মনে করা হয়েছিল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু বেশ কয়েক দফায় করোনা টেস্ট করা হলেও রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। তখন বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় ২৬ আগস্ট বাসায় ফেরেন তিনি।

এরপর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ৩১ আগস্ট তাকে আবার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলে তা নেগেটিভ আসে। পাশাপাশি তার টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার নমুনাও পরীক্ষা করা হয়েছে।

ইউনাইটেড হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা শেষেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এরপর তাকে গত ৫ সেপ্টেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে (সাবেক অ্যাপোলো) স্থানান্তর করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফারুকের স্ত্রী ফারহানা ফারুক।

তিনি দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলন, ‘বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখানে এসেও তার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। কোথাও তেমন খারাপ কিছু নেই। তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। জ্বর কমছেই না। চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তে সংক্রমণের জটিলতা দেখা দিয়েছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকরাও সংক্রমণের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছিলেন।’

ফারহানা ফারুক আরও বলেন, ‘দ্রুতই তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছি। সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগও হচ্ছে। করোনার কারণে বর্তমানে বিদেশে যাতায়াতে অনেক জটিলতা আছে। এসব মোকাবিলা করে তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আগামীকাল তার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে বোর্ড মিটিং বসবে।’

নায়ক ফারুকের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Country must be back in business without delay

Amid worker unrest and insecurity in the industrial sector, entrepreneurs and bankers have urged the new administration to focus on rebuilding confidence in the economy.

2h ago