‘এখনো নতুন রেকর্ড ভাঙ্গার তীব্র খিদে নিয়ে ছুটছে রোনালদো’
ফুটবল ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসারও অনেক কাছে চলে গেছেন তিনি। পর্তুগাল জাতীয় দলে তার কোচ ফার্নেন্দো সান্তোস মনে করেন, এখনো নতুন রেকর্ড ভাঙ্গতে তীব্র ক্ষুধা নিয়ে এগুচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। আর রোনালদো বিশ্বাস করেন, বাকি সব ঠিক থাকলে রেকর্ড এমনিতেই ধরা দেবে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রোনালদোর জোড়া গোলে সুইডেনকে ২-০ গোলে হারায় পর্তুগাল। উয়েফা নেশন্স লিগের চ্যাম্পিয়নরা নতুন আসরে পায় টানা দ্বিতীয় জয়।
বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো ট্রেডমার্ক ফ্রি-কিকে প্রথম গোলটিতেই সিআরসেভেন স্পর্শ করেন শততম গোলের মাইলফলক। দ্বিতীয়ার্ধে করেন আরেকটি দৃষ্টিনন্দন গোল। আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের সর্বোচ্চ রেকর্ডে ইরানের আলি দায়ীকে (১০৯ গোল) ছাড়াতে আর মাত্র ১০ গোল চাই তার।
ম্যাচ শেষে স্বাভাবিক কারণে পর্তুগাল কোচের মুখে রোনালদো স্তুতি, ‘[রোনালদো] রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙ্গেই চলেছে। সবাই যখন মনে করছে সে ফুরিয়ে গেছে, তখন সে আরও খিদে নিয়ে নতুন রেকর্ড ভাঙ্গার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
আর ৩৫ পেরুনো রোনালদো এমন মাইলফলকে দেখছেন একদম স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবে, ‘মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছি, এখন আমি রেকর্ডের (সর্বোচ্চ গোলদারার) জন্য ছুটব। এটা ধাপে ধাপে হচ্ছে। আমি মোহগ্রস্ত না, কারণ আমি বিশ্বাস করি রেকর্ড এমনিতেই ধরা দেবে।’
পায়ের পাতার সংক্রমণে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি। না হলে শততম গোল আসতে পারত আগের ম্যাচেই। তাতে অস্থির না হয়ে লক্ষ্যটা ঠিক রেখেছেন তিনি, ‘যখন পায়ের সমস্যা হলো আমি জানতাম দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিরতে পারব। জাতীয় দএল খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সঙ্গে সময়টা উপভোগ করি। তারা প্রথম ম্যাচটা দারুণ খেলেছে। আমাদের স্কোয়াড দারুণ। কারোরই বিকল্প হয় না।’
সুইডেনের বিপক্ষে তাদের মাঠে শুরুতে কিছুটা এলোমেলো ছিল পর্তুগাল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খেলার গতিপ্রকৃতি নিজেদের কাছে নিতে পেরেছে তারা। প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে পাওয়া ফ্রি-কিকে রোনালদোর গোল বদলে দেয় ম্যাচের হিসাব। ওই ফ্রি-কিকের ঠিক আগে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সুইডেনের গুস্তাভ সভেনসন।
দ্বিতীয়ার্ধে একজন কম নিয়ে খেলে সুইডিশরা আর পেরে উঠেনি রোনালদোদের সামনে, সব মিলিয়ে ম্যাচটা বের করতে পারার স্বস্তি কোচ সান্তোসের, ‘প্রথম ২০ মিনিট, আমাদের কঠিন সময় গেছে। যখন আমরা নিয়ন্ত্রণ পেয়েছি তখন সবই সহজ হয়ে যায়।’
‘আমরা উন্নতি করেছি, বল পেয়ে যাওয়ার পর খেলাটা আমরা সহজ করে দিয়েছি। তারপর যখন বের্নাডোর বদলি নিতে বাধ্য হলাম মনে হচ্ছিল আরও কঠিন সময় আসবে।’
‘লাল কার্ডটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদিও আমরা যেকোনোভাবেই জিততাম।’
Comments