আমার কারো কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই: রোনালদো
একই মাঠ, একই প্রতিপক্ষ। ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে এই সুইডেনের বিপক্ষে অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করে পর্তুগালকে বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন। আগের দিন সেই সুইডেনের বিপক্ষে জোড়া গোল করে বিরল এক কীর্তি গড়েন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে করলেন একশ গোল কিংবা তার বেশি। ক্যারিয়ারে এমন সব অসাধারণ কীর্তি গড়ার পরও কিছু সংখ্যক মানুষ রোনালদোর সমালোচনা করে থাকেন!
বয়সটা যখন ত্রিশ পার হয় তখন অনেকেই সে খেলোয়াড়ের শেষ সময় দেখে ফেলেন। কিন্তু রোনালদো প্রতিনিয়ত নিজেকে চেনাচ্ছেন আলাদা উচ্চতায়। বিস্ময়কর হলেও সত্য ত্রিশের পরই গোলের খুধা আর বেড়েছে তার। এমনকি তা প্রায় দ্বিগুণ। অথচ মাঝেমধ্যেই ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ খেলোয়াড়কেও সমালোচনায় বিদ্ধ করেন অনেকেই।
তবে এ ধরণের সমালোচনাকে পাত্তাই দেন না রোনালদো। কেবল নিজের কাজ করার দিকেই তার মনোযোগ তার। যে ধারায় খেলছেন তাতে আরও অনেক কীর্তি গড়ার অঙ্গীকার করেন এ পর্তুগিজ, 'আমি কারও মন্তব্য গায়ে মাখি না। এটা তাদের মতামত। আমি জানি আমি স্টেডিয়ামে একটি চিহ্ন রেখে গিয়েছি এবং আমি এটাও জানি যদি আমি খেলি, তাহলে আমি আর চিহ্ন রেখে যেতে পারবো। কোনো উস্কানিমূলক কথার পরোয়া আমি করি না।'
১০১টি গোল। আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার চেয়ে বেশি গোল রয়েছে কেবল ইরানের আলি দাইর (১০৯)। ঘরোয়া অঙ্গনে তো আরও বেশি প্রমাণ করেছেন নিজেকে। পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। আবার সেই লিগেও একশর বেশি গোল। তাই নিজেকে নতুন করে প্রমাণের কিছু দেখছেন না এ জীবন্ত কিংবদন্তি, 'আমি আমার ক্যারিয়ারে যা করেছি সেটাই কথা বলবে। না, আমার কারো কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই। যখন কোনো কিছু প্রমাণ করতে হয়, তখন মাঠেই আমি তা দেখিয়ে দেই।'
তবে একশ গোলের অনন্য মাইলফলকে পৌঁছে দারুণ খুশি রোনালদো। এগিয়ে যেতে আরও, 'আমি খুবই খুশি। প্রথমত কারণ আমার দল জিতেছে। এরপর আমার গোল যা করেছি। এরপর ১০০ গোলে এবং পরে ১০১। দুটি গোল আমাকে অনেক সুখী করেছে। এখন ভবিষ্যৎ শুধুমাত্র ঈশ্বরের জন্য। আমি ভালো বোধ করছি। আমি তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।'
Comments