বরিশালে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্সের ৬ জন নিহত
বরিশালের উজিরপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে একটি কাভার্ড ভ্যান ও বাসের সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ছয় যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী এবং বাকি চারজন পুরুষ।
আজ বুধবার উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান হতাহতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- ঝালকাঠির বাউকাঠি এলাকার বাসিন্দা আরিফ হোসেন ও তার স্ত্রী শিউলী বেগম, আরিফের মা কহিনূর বেগম, ভাই কাইউম হোসেন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক কুমিল্লার আলমগীর হোসেন এবং অজ্ঞাত এক যুবক। পুলিশের ধারনা এই অজ্ঞাত যুবক নিহত অ্যাম্বুলেন্স চালকের সহযোগী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনদিন বয়সী মৃত নবজাতকের মরদেহ নিয়ে আরিফ ঢাকার উত্তরা থেকে স্বজনদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে ঝালকাঠিতে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসছিল। পথিমধ্যে আটিপাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমুখী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পরপরই বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী মায়া ট্রাভেলসের একটি পরিবহন ওই কাভার্ডভ্যানটিকে আবার পিছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনটি যানবাহনই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে অন্য কোনো পরিবহনের কেউ হতাহত না হলেও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৫ আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং অপরজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষের পর ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে এক ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, নিহতদের উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, যানবাহন তিনটিকে সড়ক থেকে সরিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাভার্ডভ্যান বা বাসের কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে দুর্ঘটনার ফলে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। ফলে, রাস্তার দুপাশে অসংখ্য যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। এতে যাত্রী এবং শ্রমিকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহগুলো গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Comments