অবসর ভেঙে ফেরার পরিকল্পনায় যুবরাজ
সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে আবারও যুবরাজ সিংয়ের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখার সুযোগ মিলতে পারে। কেননা অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরতে চান ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান। পাঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে এরই মধ্যে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) মেইল করেছেন তিনি। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
বুধবার ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, সম্প্রতি ক্রিকেটের প্রতি উৎসাহ ফিরে পেয়েছেন যুবরাজ। গেল বছর জুনে স্বীকৃত সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও নতুন করে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। অন্তত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৩৮ বছর বয়সী তারকা।
যুবরাজের মনে ফেরার চিন্তার উদয় ঘটেছে পাঞ্জাবের তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে সময় কাটিয়ে। প্রদেশটির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অনুরোধে শুবমান গিল, অভিষেক শর্মা, আনমোলপ্রীত সিং ও প্রাভসিমরান সিংয়ের সঙ্গে গেল কয়েক মাস ধরে কাজ করছেন তিনি।
তরুণদের শেখানো-পড়ানোর পাশপাশি যুবরাজ নিজেও অনুশীলন করেছেন। পরবর্তীতে পাঞ্জাবের ওই ক্যাম্পে ব্যাট হাতেও নেমে পড়েন তিনি। অনুশীলন ম্যাচগুলোতে পান রানের দেখা। তখন পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পুনিত বালি তাকে অবসর ভেঙে ফেরার প্রস্তাব দেন। শুরুতে দ্বিধায় থাকলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেবেচিন্তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তিনি।
পুরো ঘটনা শোনা যাক যুবরাজের মুখ থেকে, ‘এই তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটানো ও খেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলাটা আমি উপভোগ করেছি। আমার মনে হয়েছে, তাদেরকে যা যা বলেছি, সেসবের অনেক কিছুই তারা বুঝতে পেরেছে।’
‘আরও কিছু বিষয় তাদেরকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে নেটে যেতে হয়েছিল এবং আনন্দমাখা বিস্ময় নিয়ে দেখেছি, দীর্ঘদিন ব্যাট না ধরলেও আমি কতটা ভালোভাবে বল মারতে পারছিলাম।’
‘আমি দুই মাস অনুশীলন করেছিলাম। এরপর ওই ক্যাম্পে ব্যাটিং শুরু করি। অনুশীলন ম্যাচের কয়েকটিতে রানও পেলাম। একদিন একটা সেশনের পর পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পুনিত বালি আমার কাছে এসেছিলেন এবং জিজ্ঞেস করেছিলেন, অবসর ভেঙে ফেরার কথা আমি পুনরায় বিবেচনা করব কিনা।’
‘প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করব কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম না। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমার পথচলা শেষ হয়ে গিয়েছিল। যদিও বিসিসিআইয়ের অনুমতি নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগে খেলা চালিয়ে যেতে চাইছিলাম। তবে জনাব বালির অনুরোধও উপেক্ষা করতে পারছিলাম না। আমি অনেক ভেবেছি। প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়াল যে, শেষ পর্যন্ত আমার সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও প্রয়োজন পড়েনি।’
‘এখন যা পরিস্থিতি, যদি অনুমতি পাই, তাহলে কেবল টি-টোয়েন্টি খেলব। তবে কে জানে, দেখা যাক।’
উল্লেখ্য, ভারতের ক্রিকেটারদের দেশটির বাইরের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনুমোদন নেই। তবে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ ও আবুধাবিতে টি-টেন লিগে (কোনোটিরই স্বীকৃতি নেই) খেলেছেন যুবরাজ। সেকারণে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার জন্য বিসিসিআইয়ের অনুমতির দরকার হচ্ছে তার।
Comments