‘৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলে যাবেন রোনালদো’

কেন এমন ভাবনার উদয় হয়েছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রায়ান গিগস।
ছবি: এএফপি

বয়স কেবল একটি সংখ্যা। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে দেখুন। ৩৫ পেরিয়েও টগবগে তরুণ। বয়স ৩০ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমাগত নিম্নমুখী হতে থাকে। কিন্তু পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের বেলায় যেন ঘটনাটা উল্টো! মুড়ি-মুড়কির মতো গোল করে যাচ্ছেন। রথী-মহারথীদের টপকে রেকর্ডের পর রেকর্ড নিজের করে নিচ্ছেন। তাই রোনালদোর সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ ও বর্তমান ওয়েলস কোচ রায়ান গিগস মনে করেন, আরও কয়েক বছর সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনায়াসে খেলতে পারবেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী তারকা।

গেল মঙ্গলবার রাতে ইতিহাসের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ১৬৫ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা এখন ১০১টি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডের মালিক ইরানের আলি দাইকে ছুঁয়ে ফেলতে তার চাই আর মাত্র আটটি গোল। নয়বার লক্ষ্যভেদ করতে পারলে এককভাবে শীর্ষে উঠে গড়বেন নতুন কীর্তি। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, বয়স ৩০ ছোঁয়ার আগে জাতীয় দলের জার্সিতে ১১৮ ম্যাচে রোনালদোর গোল ছিল ৫২টি। আর ৩০ পেরিয়ে? গোলমেশিনে পরিণত হওয়া সিআর সেভেন ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৪৯ গোল! অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি গড়ে ১.০৪ গোল!

গিগস নিজে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলেছেন ম্যান ইউনাইটেডের হয়ে। ২০১৪ সালে অবসরে যাওয়ার আগে ২৪টি বসন্ত কাটিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সফলতম ক্লাবটিতে। সেই তিনি যখন ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে, রোনালদো ৪০ পর্যন্ত খেলে যেতে পারবেন, তখন তা আমলে নিতেই হয়। তবে সেজন্য রোনালদোকে সঠিক ক্লাব বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার।

giggs
ছবি: এএফপি

যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা পিএকে গিগস বলেছেন, ‘স্পষ্টতই তাকে সঠিক ক্লাবে থাকতে হবে। আমি একটি শীর্ষস্থানীয় ক্লাবে ছিলাম এবং ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে পেরেছিলাম। আমি তাকেও ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে দেখতে পাচ্ছি।’

কেন এমন ভাবনার উদয় হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন গিগস, ‘তিনি নিজের দেখাশোনা করেন। তিনি সঠিকভাবে খান, সঠিকভাবে বিশ্রাম নেন এবং এই খেলাটির জন্য জীবনযাপন করেন। আমি যাদের সঙ্গে খেলেছি, তাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে পেশাদার। আমি তাকে তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে দেখেছি এবং কখনও অনুমান করতে পারিনি যে, তাকে এই পরিমাণ গোল করতে দেখব।’

ইউনাইটেডের জার্সিতে একসঙ্গে খেলার স্মৃতি হাতড়ে গিগস যোগ করেছেন, ‘তিনি ছিলেন প্রতিভাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড় যিনি রোমাঞ্চিত করতেন। ক্রিস্তিয়ানো সবসময়ই এই খেলাটির একজন ছাত্র ছিলেন এবং আমার মতো তিনিও সবসময় বাড়তি কিছুর সন্ধান করতেন। তিনি সবসময় জিমে থাকতেন। তিনি কতটা ভালো হতে পারবেন তা তার মনের মধ্যে থাকত। তিনি ইউনাইটেডের হয়ে এক মৌসুমে (২০০৭-০৮) ৪০টি (মূলত ৪২টি) গোল করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি যা করেছেন তা অসাধারণ।’

Comments