মাছের ঘেরে অসময়ে তরমুজ চাষ, ফলন আর মুনাফায় খুশি কৃষক

বাগেরহাটের সদর উপজেলায় একটি মাছের ঘেরে তরমুজের চাষ। ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের সদর উপজেলায় মাছের ঘেরে একই সঙ্গে দেখা মিলছে মাছের চাষ আর তরমুজের আবাদ। অসময়ের এই তরমুজ কৃষকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ায় তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটের সদর উপজেলায় ১০ একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। বিঘা প্রতি মুনাফা হিসাবে ৩০-৩৫ হাজার টাকা আয় করায় কৃষকেরা দিন দিন তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন।

সদর উপজেলার পূর্ব সায়েড়া গ্রামের তরমুজ চাষী বিভা মন্ডল জানান, সাড়ে তিন বিঘার দুটি মাছের ঘেরের পাড়ে তিনি ব্লাক হর্স জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এখানে তার ৩৫০টি গাছ রয়েছে। বপনের ৪৫ থেকে ৬০ দিন পরে ফল পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মাছের ঘেরে জাল দিয়ে পুরানো মাচা তৈরি করাই ছিল। তাই তরমুজ চাষের জন্য এই বছর তেমন কোনও অর্থ ব্যয় করতে হয়নি। ৭ হাজার টাকা ব্যয় করে প্রায় ৭০ মণ তরমুজ বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন ৩ থেকে ৭ কেজি।’

গ্রামের আরেক কৃষক জয়দেব দাশ জানান, তার মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধে ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে তরমুজের আবাদ করেছেন তিনি।

‘একই জমিতে উপরের দিকে তরমুজ আর পানিতে মাছ চাষ করছি। যেহেতু এখানে ঘেরে পানি রয়েছে তাই আমরা তরমুজ গাছে সহজেই সেচ দিতে পারি,’ বলেন তিনি।

কৃষক নাজমুল জানান তিনি এবার ৪ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। বাজার দর ভালো হওয়ায় আগামী বছর আরও বেশি জমিতে তরমুজের চাষ করবেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘এটি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। বাগেরহাট সদর উপজেলায় প্রায় দশ একর তরমুজের আবাদ হয়েছে। লাভজনক এবং রোগ কম হওয়ায় কৃষকরা এই তরমুজ চাষ করে খুশি। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ এবং সহায়তা করে যাচ্ছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Drafting new constitution can take a long time: Asif Nazrul

He proposed that the next parliament can act as constitutional authority and amend the 1972 constitution until a new one is enacted

43m ago