করোনার ভ্যাকসিন কিনতে সরকার প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যে দেশে প্রথমে তৈরি করা হবে, সেখান থেকে কিনতে প্রস্তুত আছে।
জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যে দেশে প্রথমে তৈরি করা হবে, সেখান থেকে কিনতে প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা অনেক দেশের কাছ থেকে এটি সম্পর্কে শুনেছি। তবে, আমরা সকল দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে (ভ্যাকসিন নিতে) এই লক্ষ্যে অর্থ বরাদ্দ করেছি। যেখানে ভ্যাকসিনটি প্রথমে পাওয়া যাবে সেখান থেকে সংগ্রহ করব।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকার এই ভ্যাকসিন সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি যে জায়গায় উদ্ভাবিত হবে, আমরা সেখান থেকে এটি সংগ্রহ করব। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট আন্তরিক।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই এর পরীক্ষা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভালো চিকিৎসা প্রদান করতে এবং মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। তবুও অনেকে এখানে অনিয়ম খুঁজে পাচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারির এই দুঃসময়ে সরকার জনগণের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাধ্যমতো আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। আমরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আর এই করোনাভাইরাসের সময়ে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে বলে আমি মনে করি। ইনশাল্লাহ, এই দুঃসময় আমরা পার করতে পারব।’

সংসদের নবম অধিবেশনের বর্ধিত করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অধিবেশন চলাকালীন শোকের আলোচনার দিনটি বাদে ক্ষমতাসীন দলের কেউই বক্তৃতার সুযোগ পাননি।

‘এই অধিবেশন চলাকালীন সংসদ বিরোধী দলেরই ছিল। তারা এখানে কথা বলেছেন। বিল পাসের সময় সংসদে বিরোধী দলেরই আধিপত্য ছিল,’ বলেন শেখ হাসিনা।

Comments

The Daily Star  | English

‘Selling child for treatment tragic violation of rights’

NHRC takes suo motu cognizance of TDS report, vows to ensure rights of the family, asks Dinajpur DC to probe and submit report by Oct 15

1h ago