জয় দিয়ে ওয়ানডে সুপার লিগ শুরু অস্ট্রেলিয়ার
দেড়শ ছোঁয়ার আগে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পাইয়ে দিলেন মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। লক্ষ্য তাড়ায় শেষ পর্যন্ত লড়াই চালালেন ইংল্যান্ডের স্যাম বিলিংস। তবে ম্যাচসেরা জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জ্যাম্পার বোলিং নৈপুণ্যের বিপরীতে বিফলে গেল তার প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে শুভ সূচনা করেছে অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার রাতে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ১৯ রানে হারিয়েছে তারা।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে অজিরা। জবাবে পুরো ওভার খেলে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে ৯ উইকেটে ২৭৫ রান।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুতে ডেভিড ওয়ার্নার ফেরেন জোফ্রা আর্চারের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে। এরপর মার্ক উড ও আদিল রশিদ জ্বলে ওঠায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।
১২৩ রানের মধ্যে পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর অজিদের টানেন মার্শ ও ম্যাক্সওয়েল। দুজনে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ১২৬ রানের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ জুটি। মার্শ রয়েসয়ে খেললেও ম্যাক্সওয়েল উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে।
সাতে নেমে ৭৭ রান করা ম্যাক্সওয়েলকে থামান আর্চার। তার ৫৯ বলের ইনিংসে ছিল সমান ৪টি করে চার ও ছয়। উডের শিকার হওয়ার আগে ১০০ বলে ৬ চারে ৭৩ রান আসে মার্শের ব্যাট থেকে।
দুই গতিময় ডানহাতিপেসার আর্চার ও উড নেন সমান ৩টি করে উইকেট। লেগ স্পিনার রশিদের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয় হতাশায় মোড়ানো। ৫৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা। এরপর ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও বিলিংসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। চাপ সামলে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলে খেলতে থাকেন তারা।
শেষ ১৫ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য ইংলিশদের প্রয়োজন দাঁড়ায় ১২৬ রান। কিন্তু ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জ্যাম্পা বেয়ারস্টোকে বিদায় করলে খেই হারায় তারা। পরবর্তীতে আর কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি বিলিংসকে, গড়ে ওঠেনি কোনো জুটি।
ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ১১০ বলে ১১৮ রান করেন বিলিংস। তার ইনিংসে ছিল ১৪ চার ও ২ ছক্কা। বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রান। ১০৭ বলের ইনিংসে ৪টি করে চার ও ছয় হাঁকান তিনি।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেন হ্যাজেলউড। ওভারের কোটা সম্পূর্ণ করতে ৩টি মেডেনসহ মাত্র ২৬ রান দেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অজিদের ব্রেক থ্রু দেওয়া জ্যাম্পা ৪ উইকেট পান ৫৫ রান খরচায়।
আগামীকাল রবিবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৯৪/৯ (ওয়ার্নার ৬, ফিঞ্চ ১৬, স্টয়নিস ৪৩, লাবুশেন ২১, মার্শ ৭৩, কেয়ারি ১০, ম্যাক্সওয়েল ৭৭, কামিন্স ৯, স্টার্ক ১৯*, জ্যাম্পা ৫, হ্যাজেলউড ০*; ওকস ১/৫৯, আর্চার ৩/৫৭, উড ৩/৫৪, মইন ০/৫৯, রশিদ ২/৫৫)
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৭৫/৯ (রয় ৩, বেয়ারস্টো ৮৪, রুট ১, মরগ্যান ২৩, বাটলার ১, বিলিংস ১১৮, মইন ৬, ওকস ১০, রশিদ ৫, আর্চার ৮*; স্টার্ক ০/৪৭, হ্যাজেলউড ৩/২৬, কামিন্স ১/৭৪, জ্যাম্পা ৪/৫৫, মার্শ ১/২৯, ম্যাক্সওয়েল ০/১৯, স্টয়নিস ০/১৫)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জস হ্যাজেলউড
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
Comments