জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে: সিআইডি
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত কাজ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি। একইসঙ্গে জড়িতদের প্রমাণের ভিত্তিতে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদের বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে এসব জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাঈনুল হাসান।
মো. মাঈনুল হাসান বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে এ মামলাটির দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করবো। এ মামলায় তদন্ত কালে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে অভিযুক্ত করে আমরা দ্রুত বিচারের আওতায় আনবো এবং তদন্ত প্রতিবেদন নিম্ন আদালতে দাখিল করবো।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে মাঈনুল হাসান বলেন, ‘মামলা কেবল রুজু হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
প্রাথমিক তদন্তে কি পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে গ্যাস থেকেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এরপরও তদন্তে অগ্রসর হলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রিক বিষয় আমরা খতিয়ে দেখবো। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও এখানে যে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে সেটাও ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের চেষ্টা থাকবে সামগ্রিক বিষয়গুলোর সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করে তদন্ত সম্পন্ন করা।’
এ পর্যন্ত কোনো আলামত পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাসসহ আমাদের নিজস্ব ফরেনসিক আছে। তাদের তত্ত্বাবধানে আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবো, আলামতগুলো ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়াও, অন্যান্য তদন্ত রিপোর্টের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করে দ্রুততার সঙ্গে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করবো।’
এর আগে, সকাল ১১টায় ডিআইজি মাঈনুল হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাইতুস সালাত জামে মসজিদের ভেতরে ঘুরে দেখেন। এ সময় সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ঈমাম হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে পৌনে ৯টায় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন, ইমাম, শিশু, শিক্ষার্থী, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ফটো সাংবাদিকসহ ৩৯ জন দগ্ধ হন। যাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩১জন মৃত্যুবরণ করেন।
Comments