শ্রীলঙ্কায় ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টিনের সময় কমিয়ে আনার চেষ্টায় বিসিবি

nizamuddin chowdhury
ফাইল ছবি: বিসিবি

করোনাভাইরাস মহামারির পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বদলে গেছেন অনেক কিছু। সেই বদলের বড় ধাক্কা লেগেছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে। অনেক দেশই ভ্রমণের পর যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে। তবে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে প্রস্তুতির সুবিধার্থে বাংলাদেশ দল ৭ দিনের বেশি কোয়ারেন্টিনে থাকতে চায় না। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, এমন চাহিদাই লঙ্কান বোর্ডকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের শেষ দিকে তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। অক্টোবরের ২৩ তারিখ থেকে প্রথম টেস্ট শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে।

কিন্তু এখনো সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেনি লঙ্কান বোর্ড। একটি সূত্রে জানা গেছে, কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে ঝুলে আছে সফরসূচি। শ্রীলঙ্কা সরকারের বেধে দেওয়া ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের সময় কমিয়ে আনা যায় কিনা সেই চেষ্টা করছে এসএলসি।

শনিবার বিসিবির প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমের সামনে এসে বিসিবির প্রধান নির্বাহীও জানালেন এ কথাই,  ‘শ্রীলঙ্কার বোর্ডের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তারা তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। নির্দিষ্ট কোয়ারেন্টাইন রিকোয়েরমেন্ট যেগুলো, তারা চেষ্টা করছে বিষয়গুলো যত কমিয়ে আনা যায়। প্রত্যেকটি দেশেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে বৈশ্বিক মহামারীর কারণে। শ্রীলঙ্কাতেও বিভিন্ন নিয়ম জারি হয়েছে। আমাদের দল যখন সফর করবে, বিষয়টিকে কতটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে শ্রীলঙ্কার বোর্ড তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।’

করোনার শুরু থেকে কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসা শ্রীলঙ্কায় কোয়ারেন্টিনের সময় ঘরবন্দি ছাড়া কোন কিছুই করার উপায় নেই। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হলে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অনুশীলনের সুযোগ পাবে না বাংলাদেশ দল। বাকি কদিনের মধ্যে অনুশীলন করলেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ কমে আসবে। বিসিবি তাই চাইছে কোয়ারেন্টিনের সময়টা যেন কমিয়ে আনা যায়,  ‘সবশেষ যখন আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, তারা বলেছে, সর্বোচ্চ ৭ দিন আমাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তারপর আমাদের নির্ধারিত প্রোগ্রাম আমরা করতে পারব। সাতদিনের মধ্যেই যদি সীমাবদ্ধ রাখা যায়, তাহলে আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেভাবেই এগোতে পারব।’

দেশের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিন জারি বাংলাদেশেও। জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক বাংলাদেশে এসে এখনো বসে আছেন হোটেলে। আসার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সনদ পেয়েছেন তারা। বাংলাদেশে এসেও একবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছেন। কিন্তু এখনো বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাননি। কোচরা যাতে সময়ের আগেই মুক্ত হতে পারেন সেজন্যও তদবির করছে বোর্ড, ‘আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের কাছ থেকে। তারা কিছু ডকুমেন্ট চেয়েছেন। তা আমরা দিয়েছি। আশা করছি আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে আমরা তাদের অনুমতি পেয়ে যাব।’

 

Comments

The Daily Star  | English

UK govt unveils 'tighter' immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

1h ago