ঢাকায় নেওয়া হয়েছে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলীকে

উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখকে (৬৫) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
Wahida Khanam
ইউএনও ওয়াহিদা খানম। ছবি: সংগৃহীত

উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখকে (৬৫) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের একটি অ্যাম্বু্লেন্স তাকে নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়।

চিকিৎসকরা জানান, ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখের কোমরের নিচের অংশ পুরোপুরি অবশ হয়ে গেছে। কথা বলতে এবং খেতে পারলেও হাঁটতে পারছেন না। আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে তার দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছিলেন, ওমর আলী শেখ আগে থেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ঘটনার রাতে তিনি ঘাড়ে আঘাত পান, এতে স্পাইনাল কর্ডে গুরুতর জখম হয়। সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় হাত-পা অবশ হয়ে যায়। তার দুই হাত কিছুটা সচল আছে। তবে কোমর থেকে নিচের অংশ পুরোপুরি অবশ হয়ে গেছে। তার দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন।

গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়। পরদিন সকালে তাদের প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনিও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার দিনই ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা মামলাটি তদন্ত করছে। ওই মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার ও প্রায় ২২ জনকে আটক করেছে।

আরও পড়ুন:

ইউএনও ওয়াহিদা হয়তো হামলার ঘটনা মনে করতে পারছেন: ডা. বদরুল হক

Comments