করোনা সংকট মোকাবিলায় স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন আইনজীবীরা: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় আড়াই মাস আইনজীবী বিশেষ করে জুনিয়র আইনজীবীরা প্রাকটিস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এতে অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়েছেন। তাদের কষ্ট লাঘবে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আজ রোববার ফরিদপুরে ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আটতলা বিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া হবে।’
‘হেফাজতে মৃত্যুর কারণে এই উপমহাদেশে প্রথম সাজাও তার সরকারের সময় হয়েছে। অপরাধীদের সাজা দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, এই দেশে সকলকেই আইন মানতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটালে তার বিচার হবে এবং আইনসংগত সাজা হবে। এটা সকলকে মনে রাখতে হবে,’ বলেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ আমাদের উপরে তখন আস্থা রাখবে, যখন তারা সঠিক বিচার পাবে। বিচারক ও আইনজীবীরা বিচার বিভাগকে কার্যকর করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান দুটি অর্গান। রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্গানের মধ্যে বিচার বিভাগ যেমন একটি, ঠিক তেমনি বিচার বিভাগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বিচারক ও আইনজীবীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনস্টিটিউশন। এই দুই ইনষ্টিটিউশন মিলে জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার মতোই বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। ব্রিটিশরা যে আদালত ভবনগুলো তৈরি করে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত অন্যান্য সরকার সেগুলোর কোনো পরিবর্তন করেনি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগে বৃহদাকারে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে হাত দেন। তার সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সরকার জেলায় জেলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন ও জেলা জজ আদালত ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে। বিচারকদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে তাদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কারণ শেখ হাসিনা মনে করেন বিচারকরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকলে তাঁরা কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন এবং জনগণ সুষ্ঠু বিচার পাবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধানে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কথা থাকলেও সামরিক ও খালেদা জিয়ার সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগের অনেক পজেটিভ পরিবর্তন আনেন এবং এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ করা হয়।’
Comments