৫৪ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারের ইন্টারনেট সুবিধা নেই: সমীক্ষা

স্টার ফাইল ছবি

সরকারের ডিজিটাল দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও বর্তমানে দেশের ৫৪ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা নেই বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

আজ রোববার প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে গ্রামীণ পরিবারগুলোর ৫৯ শতাংশের স্মার্টফোন নেই এবং ৪৯ শতাংশের কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ নেই।

বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে ডিজিটাল সাক্ষরতার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে ও ডিজিটাল লিটারেসি ইনডেক্স (ডিএলআই) তৈরির জন্য সারা দেশে ৬ হাজার ৫০০ গ্রামীণ পরিবারের উপর এ সমীক্ষাটি করেছে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)।

এ সমীক্ষার ফলাফল ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল লিটারেসি’ শীর্ষক একটি অনলাইন সেমিনারে তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের পরিবারগুলোর মধ্যে বিরাজমান ‘ডিজিটাল বিভাজন’ অব্যাহত থাকার কারণে দেশের ই-গভর্নেন্স সিস্টেমের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের গ্রামীণ পরিবারগুলোতে ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের তুলনায় ডিজিটাল সুবিধা, ডিজিটাল দক্ষতা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা পরিমাণ বেশি আছে।

সমীক্ষায় আরও বলা হয়, জরিপ করা ৬ হাজার ৫০০ পরিবারের মধ্যে এক শতাংশেরও কম পরিবার অনলাইনে কোনো ধরণের আয়-উপার্জন করে না। কোনো পরিবারের আয় সে পরিবারের ডিজিটাল সুবিধা, দক্ষতা এবং সাক্ষরতার উপর বলিষ্ঠ ও উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে।

ডিজিটাল প্রবেশাধিকারের মতো, তাদের ডিজিটাল দক্ষতার উপর ভিত্তি করে চার শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। গ্রামীণ পরিবারের দুই-তৃতীয়াংশের মধ্যে ‘কম দক্ষতা’ রয়েছে, ১৬ শতাংশ পরিবারের মধ্যে ‘কোনো দক্ষতা নেই’, ১৫ শতাংশের মধ্যে ‘মৌলিক দক্ষতা’ এবং ৮ শতাংশ পরিবারের মধ্যে মৌলিকের চেয়ে বেশি’ দক্ষতা রয়েছে।

সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, পরিবার প্রধানের লিঙ্গগত পার্থক্য ডিজিটাল প্রবেশাধিকার ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও নারী-পরিচালিত পরিবারগুলোতে আরও ভাল ডিজিটাল সাক্ষরতার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. ওয়াসেল বিন শাদাত সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপনের সময় বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জরুরি ভিত্তিতে একটি বিশদ ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল কম্পিটেন্সি ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করতে হবে যাতে বাংলাদেশে বিদ্যমান ‘ডিজিটাল বিভাজন’ কাটিয়ে উঠতে পারে।’

‘কন্সালটিব গ্রুপ টু অ্যাসিস্ট দ্য পুর’ প্রধান গ্রেগরি চেন বলেন, ‘ডিজিটাল সাক্ষরতা হলো একে অপরকে প্রভাবিত করে এমন অসংখ্য নির্ধারকের ফল। এর সবগুলো নির্ধারক শনাক্ত ও সম্বোধন করা হলে তখনই কেবল ডিজিটাল সাক্ষরতার স্তর উন্নত হবে।’

বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, ‘এ সমীক্ষাটি ডিজিটাল সোস্যাল সায়েন্স ডোমেনের একটি অংশ এবং এ বিষয়ে শিগগিরই আরও আলোচনার আয়োজন করবে বিআইজিডি।’

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

3h ago