মেজর সিনহা হত্যা মামলায় আরও ১ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেল শর্মা নামে আরও এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেল শর্মা নামে আরও এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ সোমবার কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গতকাল রাতে টেকনাফ থানা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মেজর মেহেদী হাসান।

গ্রেপ্তার রুবেল শর্মা টেকনাফ থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন।

মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর রুবেল শর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ দুপুর ১২টায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ’র আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তার অন্যান্য আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তারা পুলিশের কনস্টেবল রুবেল শর্মার নাম বলেন। এ কারণে রোববার রাতে র‍্যাবের একটি দল রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেজর সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার রুবেলের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে পরবর্তীতে আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।’

আজ দুপুর সোয়া ২টায় গ্রেপ্তার রুবেল শর্মাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতের হাজতখানা থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার আদালতের পুলিশের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

৫ আগস্ট এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাবকে।

৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের ৭ সদস্য।

গত এক মাসে এপিবিএন’র ৩ সদস্য, টেকনাফ থানায় সিনহা ও তার সঙ্গী সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে মোট ১৩ জনকে নানা মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব। তারমধ্যে ১২ জন আসামি এ পর্যন্ত আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রদীপ কুমার দাশ একমাত্র আসামি যিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। রুবেল শর্মাসহ এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হলো ১৪ জন।

আরও পড়ুন:
 

Comments

The Daily Star  | English

Prof Yunus set for crucial bilateral talks with Malaysian PM tomorrow

First visit to Bangladesh by foreign head of government since August 5

1h ago