ইলিশে সয়লাব বাগেরহাটের কেবি বাজার

বাগেরহাটের দড়াটানা নদীর তীরে সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছের বাজার কেবি বাজার এখন বড় ও মাঝারি সাইজের ইলিশে ভরে গেছে।
ভোর ৬টা থেকেই ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক-ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে বাজারটি। ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের দড়াটানা নদীর তীরে সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছের বাজার কেবি বাজার এখন বড় ও মাঝারি সাইজের ইলিশে ভরে গেছে।

স্থানীয়ভাবে এক কেজি আকারের ইলিশের পোন হিসেবে পরিচিত ৮০ পিস লটের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার টাকায়, আবার ছোট ইলিশের পোন (৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজন) দাম পড়ছে ৩৫ হাজার টাকা। সাধারণত ভোর ৬টা থেকেই ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক-ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে বাজারটি।

গত কয়েকদিনে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের আমদানি হওয়ায় ও দাম কম থাকায় বেচাকেনাও জমে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

এক কেজি আকারের ইলিশের লটের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার টাকায়। ছবি: সংগৃহীত

ইলিশ বিক্রি করতে আসা জেলে বাবুল খান বলেন, ‘আমি এবার সাগরে প্রচুর বড় ইলিশ পেয়েছি। তবে, ৫০০ গ্রামের উপরে অনেক মাছের ডিম ছিল। দাম একটু কম হলেও বেশি ইলিশ পাওয়ায় পুশিয়ে গেছে।’

মৎস্য ব্যবসায়ী একলাস শেখ বলেন, ‘এখন মাছের সাইজ ও দাম দুটোই ভালো। আমি এক কেজি ওজনের মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের মাছ ৪০০ টাকায় বিক্রি করছি।’

পাইকারি ক্রেতা বাপ্পি জানান, তার মতো অনেক ক্রেতা বাজারে খুব কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে আনন্দিত।

তবে, বাজারে কেউ সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক ব্যবহার করছেন না। ফলে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে অভিযোগ করেন অনেকে।

প্রচুর পরিমাণে ইলিশের আমদানি হওয়ায় ও দাম কম থাকায় বেচাকেনা জমে উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ কনক বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সময় মতো মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি তাদের আকার বৃদ্ধিতেও অবদান রেখেছে। এছাড়া, জাটকা ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে জেলেদের উৎসাহী করতে পরিচালিত প্রচারণা ও অভিযান সমুদ্র সংলগ্ন নদীতে ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।’

বাজারে সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাজার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা স্বাস্থ্যবিধির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছি। তবুও অনেকে এখনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আগামীকাল আবারও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

The morale issues of Bangladesh Police

There is no denying that for a long time, the police have been used as a tool of repression in the subcontinent

2h ago