বাগেরহাটে পলিব্যাগে বিষমুক্ত বেগুন চাষ
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ধনপোতা গ্রামে গত মে মাসে মাসে চার বিঘা জমিতে দেশি জাতের বেগুন চাষ শুরু করেন কমলেশ পাল (২৬) ও তার বড় ভাই সরোজিৎ পাল (৩৬)। শুধুমাত্র পলিব্যাগ ব্যবহার করে তারা বিষমুক্ত বেগুন উৎপাদন করছেন।
স্থানীয় চাকুলি বিলে মাছের ঘেরের পাড়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শে দেশি জাতের পাঁচ হাজার গাছ লাগিয়েছেন তারা। উৎপাদন খরচ পড়েছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। ২০ দিন হলো বেগুন বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে। তারা প্রত্যাশা করছেন, সব গাছ থেকে বেগুন বিক্রি শুরু হলে প্রতি সপ্তাহে আয় দ্বিগুন হবে। সব মিলিয়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করা সম্ভব হবে।
কমলেশ পাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বেগুন চাষ করে এত লাভ হবে কখনো ভাবিনি। সবচেয়ে বড় কথা, এই বেগুন বিষমুক্ত। কারণ বেগুনের জমিতে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। গাছে বেগুন ধরতে শুরু করার পরে তলা কেটে পলিব্যাগ বেঁধে দিয়েছি। তাতে পাখি ও পোকা থেকে বেগুন রক্ষা পাচ্ছে। ফল ও ডগা ছিদ্রকারী পোকার জন্য বেগুন গাছে সবচেয়ে বেশি বিষ প্রয়োগ করতে হয়। পলিব্যাগ ব্যবহার করায় আমাদের বিষ প্রয়োগ করতে হয়নি।
সরোজিৎ পাল বলেন, বাজারে আমাদের বেগুনের অনেক চাহিদা আছে। দামও ভালো পাচ্ছি। আশা করি এ বছর আমরা পাঁচ লাখেরও বেশি টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবো।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, সাধারণত সব মৌসুমেই বেগুন উৎপাদন হয়। আড়াই মাসের মাথায় বেগুন তোলার উপযুক্ত হয়। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নাছরুল মিল্লাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রথম অবস্থায় কৃষকেরা এভাবে বেগুন চাষ করতে চাননি। উৎপাদন খরচ কম এবং প্রচুর বেগুন ধরে বলে তারা আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ সব সময় তাদের পাশে থেকে পরামর্শ দিচ্ছে। ফলে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়াই শুধুমাত্র পলি ব্যাগের সাহায়্যে বেগুনের ফল ও ডগা ছিদ্রকারী পোকা থেকে বেগুন রক্ষা পাচ্ছে।’
Comments