রপ্তানি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের মোকাম

দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের মোকামগুলো ইলিশ রপ্তানির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। প্রতিদিনই ট্রাকে করে অন্তত ১৫-২০ টন ইলিশ বেনাপোল সীমান্তের দিকে যাচ্ছে।
বরিশাল পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে ইলিশ রপ্তানির জন্য প্যাকিং চলছে। ছবি: সুশান্ত ঘোষ

দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের মোকামগুলো ইলিশ রপ্তানির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। প্রতিদিনই ট্রাকে করে অন্তত ১৫-২০ টন ইলিশ বেনাপোল সীমান্তের দিকে যাচ্ছে।

ইলিশ ব্যবসায়ীরা জানান, রপ্তানিকারকদের বেশিরভাগ বরিশালের বাইরের হলেও রপ্তানির মাছ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ইলিশের পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করেন তারা।

সোমবার বরিশাল পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে গিয়ে দেখা যায় রপ্তানির জন্য প্যাকিং চলছে।

ইলিশ ব্যবসায়ী অজিত কুমার দাস মনু জানান, পোর্টরোড পাইকারী মৎস্যকেন্দ্র দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের সবচেয়ে বড় মোকাম হওয়ায় এখান থেকেই অন্তত ৮০ ভাগ ইলিশ রপ্তানি হবে। এসব ইলিশ যেমন স্বাদে অতুলনীয় তেমনি, আকারেও বড়।

ইলিশ ব্যবসায়ী জহির সিকদার জানান, ইলিশ রপ্তানির খবরে প্রতিদিনই অভ্যন্তরীণ ইলিশের বাজারে দাম বাড়ছে। মাত্র ২ সপ্তাহ আগে ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি সাইজের মাছ এখন ৮৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান ইলিশ সাধারণত জোয়ারের সময়ে ধরা পড়ে। পরবর্তী জোয়ারের সময় ইলিশ এর দাম আবার কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।

মোকামের কর্মচারী উজ্জ্বল দাস বলেন, ছোট আকারের মাছের দাম কম। ৩০০-৪০০ গ্রামের মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় আকারের নদীর মাছের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। ৮০০-১২০০ গ্রাম ওজনের মাছই রপ্তানি হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগের একমাত্র ইলিশ রপ্তানিকারক নীরব হোসেন টুটুল বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান ১৭৫ টন ইলিশ রপ্তানির আদেশ পেয়েছে। তবে অন্য যারা আদেশ পেয়েছেন তাদের অন্তত ৮০ ভাগ ইলিশ বরিশাল মোকাম থেকে যাবে।’

তিনি জানান, প্রতি কেজি ১০ ডলার করে এসব ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সাধারণত ১ কেজি সাইজের উপরের ইলিশই পাঠানো হচ্ছে।’

তিনি বলেন, প্রথম ১২ টনের যে মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে তা বরিশালের ইলিশ। কলকাতায় এই ইলিশের পরিচিতি পদ্মার ইলিশ নয় ‘বরিশালের ইলিশ’ হিসেবেই।  

এই মোকামের ইলিশ ব্যবসায়ীরা জানান, বরিশাল ছাড়াও, পাথরঘাটা, মহিপুর, কলাপাড়া, মহিপুর পাইকারী কেন্দ্রগুলি থেকে বরিশাল অঞ্চলের ইলিশ সংগ্রহ করা হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বিমল চন্দ্র দাস জানান, এখন ইলিশ ধরার পিক সিজন। ২২ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার সময় পর্যন্ত ইলিশ পাওয়া যাবে। নানা তদারকিতে ইলিশের উৎপাদন যেমন বাড়ছে তেমনি এর আকারও বেড়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রণালয় ৯ রপ্তানিকারককে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পূজা স্পেশাল হিসেবে ১৪৭৫ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। গতকাল সোমবার ১২ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে যায়।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

7h ago