অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্নাসহ অন্তত ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে করোনা ভ্যাকসিন কিনছে ইন্দোনেশিয়া

Indonesia-1.jpg
পশ্চিম জাভার বান্দুংয়ে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন একজন স্বেচ্ছাসেবক। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিনতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নাসহ অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত করেছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। আজ মঙ্গলবার দেশটির এক মন্ত্রীর বরাত দিয়ে জাকার্তা গ্লোব এ তথ্য জানায়।

ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ক মন্ত্রী আয়ারলাঙ্গা হার্তার্তো জানান, ইতোমধ্যে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জি-৪২ হেলথকেয়ারের কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।

তবে তিনি মনে করেন যে, ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে অন্য উৎস থেকেও ভ্যাকসিন সংগ্রহ প্রয়োজন।

তিনি জানান, তালিকার শীর্ষে আছে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন। রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বায়ো ফার্মা ও পাজাজারান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সহযোগিতায় বর্তমানে পশ্চিম জাভার বান্দুংয়ে এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।

তিনি বলেন, ‘সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ২৬ থেকে ৩০ কোটি ডোজ ব্যবহারের সুযোগ আছে আমাদের। এর মধ্যে এ বছরের শেষ ভাগে তিন কোটি ডোজ সরবরাহ করা হবে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হওয়া সাপেক্ষে ২০২১ সালের প্রথম দিকেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।’

তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের জি-৪২ ভ্যাকসিনের ১১ কোটি ডোজ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার।

এ ছাড়াও, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই), ক্যানসিনো বায়োলজিকাল, মডার্না, অ্যাকিউরাস থেরাপটিক্স, জেনেক্সিন কোরিয়া এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি মেরাহ পুতিহ ভ্যাকসিনও তালিকায় আছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জিএভিআইসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা পেতে যোগাযোগ করেছি। প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের মধ্যে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা জনসেবা প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারব।’

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

5h ago