‘ভেট্টোরির অ্যাকশনে’ ধাতস্থ তাইজুল
বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে বড় ভরসার নাম তাইজুল ইসলাম। সাকিব আল হাসান না থাকলে স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে হয় তাকেই। কিন্তু টেস্ট স্পেশালিস্ট তকমা ছাপিয়ে তিনি আছেন সাদা বলের চুক্তিতেও। সব সংস্করণে ভালো করতে তাই বোলিং অ্যাকশন বদলে ফেলেছেন তিনি, বেছে নিয়েছেন স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরির অ্যাকশন। তাতে নাকি মানিয়েও গেছেন বেশ। সব সংস্করণ খেলতে কেন বদলাতে হলো অ্যাকশন, জানিয়েছেন সেই ভাবনা।
করোনাভাইরাসের বিরতি কাটিয়ে নতুন করে বাংলাদেশের খেলা শুরু হলে তাইজুল নজর কাড়বেন আলাদা করে। আগের তাইজুলের সঙ্গে মিলবে তফাৎ। স্পিন বোলিং কোচ ভেট্টোরির পরামর্শে তার মতোই অ্যাকশন বেছে নিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনে এসে তাইজুল জানালেন, নতুন অ্যাকশনে মানিয়েও গেছে তার শরীর, ‘৩-৪ মাস পর মাঠে ফিরে আসা কঠিন। তারপরও ক্রিকেট বোর্ড যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, আমরা ২ মাসের মতো প্র্যাকটিস করলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি বোলিং নিয়ে কাজ করেছি। ভেট্টোরির সঙ্গে কথা বলেছি আমার বোলিং নিয়ে, মাঝখানে অ্যাকশন বদলেছি। অ্যাকশন নিয়ে কাজ করেছি। শরীরের সঙ্গে এখন অ্যাকশন মানিয়ে গেছে।’
অ্যাকশন বদলে ফেলার পেছনে মূল ভাবনা অবশ্যই তিন সংস্করণে নিয়মিত হওয়া। কিন্তু তার জন্য অ্যাকশন কেন বদলাতে হলো, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার, ‘আগের অ্যাকশনে একই জায়গায় টানা বল করার সুবিধা পেতাম। কিন্তু ওই অ্যাকশনে তিন সংস্করণে চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন ছিল, কারণ বৈচিত্র্যের মাত্রা কম ছিল। ভেট্টোরির সঙ্গে কথা বলার পর তিনি বলেছেন যে, এই অ্যাকশনে একইরকম বল করে হয়তো তিন ফরম্যাটে খেলতে পারব।’
‘এজন্য বলের বাড়তি বাউন্সের দিক চিন্তা করে, ওভার স্পিনের কথা চিন্তা করে, বিভিন্ন বৈচিত্র্যের কথা চিন্তা করেই অ্যাকশন বদলে ফেলেছি। এরই মধ্যে ফলও পাচ্ছি, বৈচিত্র্য পেতে সহায়তা করছে নতুন অ্যাকশন।’
নতুন অ্যাকশনে ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল করতেও শুরু করেছেন তাইজুল। স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়ার সঙ্গে এখন আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দিকেও নজর তার, ‘এখন টানা ২ ঘণ্টা বোলিং করতেও সমস্যা হচ্ছে না। আমাদের ব্যক্তিগত অনুশীলন যখন ছিল, তখন যে সুবিধাটা হয়েছে, যার যার কাজগুলি নিজের মতো করে করতে পেরেছি। সপ্তাহ দুয়েক হলো ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করছি নেটে। আত্মবিশ্বাস বাড়তে শুরু করেছে, আরও কিছুদিন গেলে আরও বাড়বে আশা করি।’
Comments