নিষিদ্ধ হতে পারেন দি মারিয়াও

দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ছয় ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন দি মারিয়া।
angel di maria
ছবি: রয়টার্স

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ফরাসি চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। লিগ ওয়ানে প্রথম দুটি ম্যাচেই হেরে গেছে দলটি। তার উপর তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নেইমার আছেন বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায়। এবার আরেক সেরা তারকা আনহেল দি মারিয়াও কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ফরাসি গণমাধ্যমগুলো।

গত রবিবার অলিম্পিক মার্সেই ও পিএসজির মধ্যকার ম্যাচজুড়ে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। শেষ দিকে দুদলের লড়াইটি সত্যিকার অর্থেই রূপ নিয়েছিল ‘লড়াই’য়ে। বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া পিএসজির তিন আর মার্সেইয়ের দুই ফুটবলারকে দেখানো হয় লাল কার্ড। তাদের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলিয়ান নেইমারের নামও। আলভারো গঞ্জালেজের মাথার পেছনে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তিনি। মারামারির ঘটনার আগে মার্সেইয়ের ডিফেন্ডার গঞ্জালেজকেই থুতু দেন দি মারিয়া। সে কারণেই নিষিদ্ধ হতে পারেন এ আর্জেন্টাইন তারকা।

মূলত টেলিফুট চ্যানেলের বরাতে একটি ভিডিও ফুটেজ আগের দিন থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। সেখানে দেখা যায়, একটি ট্যাকলকে কেন্দ্র করে স্প্যানিশ গঞ্জালেজের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দি মারিয়া। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে থুতু ছুঁড়ে মারেন এ আর্জেন্টাইন। যা গিয়ে লাগে গঞ্জালেজের মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন তিনি।

তবে তখন বিষয়টি এড়িয়ে যান রেফারি। এমনকি ভিএআরেও ধরা পড়েনি কিছু। অথচ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েই নেইমারকে লাল কার্ড দিয়েছিলেন রেফারি। তবে মাঠে শাস্তি এড়াতে পারলেও এবার না-ও বেঁচে যেতে পারেন দি মারিয়া। এ প্রসঙ্গে লিগের রেফারি কমিটির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর প্যাসকল গ্যারিবিয়ান বলেছেন, ‘ভিএআর তখন এ ফুটেজটি খুঁজে পায়নি। তার মানে এমন নয় যে, ঘটনাটি ঘটেনি। তবে এমন কোনো ভিডিও চিত্রও পাওয়া যায়নি যা দিয়ে সুস্পষ্টভাবে বিষয়টি প্রমাণ করা যাবে।’

জানা গেছে, লিগ ওয়ান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করবে। আর তাতে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ছয় ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন দি মারিয়া। অন্যদিকে, গঞ্জালেজকে মাথায় আঘাত করায় সাত ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার। আর এমনটা হলে বেশ সমস্যায় পড়বে পিএসজি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago