নরসিংদীতে ট্রিপল মার্ডার: মারা গেলেন আহত কুলসুম
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় স্ত্রী ও বাড়িওয়ালা দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত বাড়ির মালিকের মেয়ে কুলসুম বেগম (২৩) মারা গেছেন।
আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুলসুমের স্বামী জিয়াউর রহমান তারেক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাড়ে তিন বছর বয়সী এক সন্তান আছে। মনোহরদী উপজেলার বগাদী গ্রামে আমাদের বাড়ি থেকে শিবপুর উপজেলার কুমড়াদী গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল কুলসুম।’
শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, ‘গত রোববার ভোরে পারিবারিক কলহের জেরে শিবপুর উপজেলার কুমড়াদী গ্রামের ভাড়াটিয়া কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া তার স্ত্রী নাজমা আক্তারকে (৪২) কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় তাকে বাধা দিতে গেলে তার এক সন্তানসহ বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম (৫৮), তাজুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৮) ও তাদের মেয়ে কুলসুমকে ছুরিকাঘাত করেন বাদল।’
গুরুতর আহত অবস্থায় বাদলের স্ত্রী ও বাড়িওয়ালা দম্পতিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
আহত কুলসুমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়াকে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় রোববার রাতেই অভিযুক্ত বাদল মিয়াকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন মিয়া।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে স্ত্রীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যা, অভিযুক্তকে গণপিটুনি
Comments