মধুপুরে বন বিভাগের বিট অফিস ঘেরাও

জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধারের নামে মধুপুরে গারো নারীর কলার বাগান কেটে নষ্ট করার প্রতিবাদে আজ বুধবার টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে দোখালা ফরেস্ট বিট অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিবাসীরা।

জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধারের নামে মধুপুরে গারো নারীর কলার বাগান কেটে নষ্ট করার প্রতিবাদে আজ বুধবার টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে দোখালা ফরেস্ট বিট অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিবাসীরা।

এ ঘটনায় কলা বাগান ধ্বংসকারী কর্মকর্তাদের শাস্তি এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে বন বিভাগকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। অন্যথায় মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচী পালনের হুমকি দেওয়া হয়।

বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারী ও শিশুসহ কয়েকশ মানুষ দুপুরে মিছিল নিয়ে দোখালায় বন বিভাগের বিট অফিসের সামনে জমায়েত হয়ে সেখানে সমাবেশ করেন।

সমাবেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেতা অজয় এ মৃ, যষ্টিনা নকরেক, উইলিয়াম দাজেল, জন যেত্রা, হেরিত সিমসাং, বিপ্লব রিচার্ড এবং রেহিম যেত্রা বক্তব্য রাখেন।

তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গারো নারী বাসন্তী রেমাকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। এছাড়াও ঐদিন অভিযানে অংশ নেওয়া বন কর্মকর্তাদের শাস্তি এবং মধুপুরের সহকারী বন সংরক্ষকের অপসারণ দারি করেন তারা।

মধুপুর বনাঞ্চলের দখল হয়ে যাওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধারের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে গত সোমবার স্থানীয় বন কর্মকর্তারা শোলাকুড়ি ইউনিয়নের সেগামারী এলাকায় একটি কলাবাগান কেটে দিয়ে ৫০ শতাংশ বনের জমি উদ্ধার করেন।

স্থানীয় গারোদের দাবি ঐ জমি বাসন্তী রেমা অনেক বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। বনবিভাগ কোনো নোটিশ না দিয়েই বাসন্তীর বাগানের ৫০০ কলাগাছ কেটে দিয়ে তার আর্থিক ক্ষতি করেছে।

স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বনের ঐ জমিটি বাসন্তী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে রেখে কলা বাগান করার জন্য অন্যের কাছে লীজ দিয়ে রেখেছিলেন। তারা সরকারি নির্দেশে জবরদখলে থাকা বনের জমি উদ্ধার করছেন। তাই দখলকারীকে নোটিশ প্রদানের কোনো আবশ্যকতা নেই।

ঐতিহ্যবাহী মধুপুর শালবনের ৪৫ হাজার ৫৬৫ একর বনভূমির মধ্যে প্রায় ২০ হাজার একর এখনও জবরদখলে রয়েছে। স্থানীয় এবং বহিরাগতরা গাছপালা কেটে বনের এসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিকভাবে কলা, আনারস, পেঁপে, হলুদ, আদা, কচুসহ বিভিন্ন ফল এবং ফসলের আবাদ করে আসছেন।

স্থানীয় বন কর্মকর্তারা গত এক বছরে দোখালা, আরনখোলা, জয়নাগাছা, সেগামারী, আমতলীসহ মধুপুর বনের বেদখলকৃত ১৫৭ একর জমি পুনরুদ্ধার করেছেন। উদ্ধারকৃত জমিতে তারা স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে মানানসই বিভিন্ন জাতের গাছের সমন্বয়ে সামাজিক বনায়ন করছেন।

আরও পড়ুন: মধুপুরে বন বিভাগের অভিযান: কলা বাগান ধ্বংসের প্রতিবাদে ক্ষোভ, মানববন্ধন

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago