পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, ‘অনুতপ্ত’ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগেই বাংলাদেশকে অবহিত না করার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই ‘অনুতপ্ত’।

তিনি বলেন, ‘শুনেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই অনুতপ্ত। কারণ হঠাৎ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি তারা জানত না।’

তুরস্ক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ড. মোমেন।

পেঁয়াজ রপ্তানির ব্যাপারে ভারতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য ঢাকা যে আহ্বান জানিয়েছে, শিগগিরই সে ব্যাপারে ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।

হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় এর আগে ভারতকে ‘গভীর উদ্বেগের’ কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ। এতে করে গত বছরের অক্টোবর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে যে অলোচনা হয়েছিল তা গুরুত্ব হারায় বলেও মনে করে ঢাকা।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ হাইকমিশনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লেখে, ‘ভারত সরকারের সর্বশেষ আকস্মিক ঘোষণা এই বিষয়টিকে নিয়ে দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে যে আলোচনা ও বোঝাপড়া হয়েছিল তা ক্ষুন্ন করে।’

বাংলাদেশ এ ব্যাপারে চলতি বছরের ১৫-১৬ জানুয়ারি দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং গত বছরের অক্টোবরে ভারতে ভিভিআইপি সফরে আলোচনা হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছে।

গত বছরের অক্টোবরে ভারত সফরকালে এক অনুষ্ঠানে হিন্দিতে (ভারতীয় গণমাধ্যম অনুসারে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার আগে আমাদের জানাবেন। আমাকে আমার বাবুর্চিকে বলতে হয়েছিল আমাকে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা খাবার দিতে। আমি ভারতকে অনুরোধ করব যেন এ জাতীয় পদক্ষেপ নেয়ার সময় দয়া করে আগেই আমাদের জানান। সর্বোপরি আমরা প্রতিবেশী।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতীয় হাইকমিশন তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের বার্তা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি এবং দুদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চমৎকার সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

43m ago