ফরাসি ওপেনে খেলবেন না ইউএস ওপেনের শিরোপাধারী ওসাকা
জাপানের টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে আসন্ন ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত রবিবার নিউইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়েও ইউএস ওপেনের শিরোপা জেতেন ওসাকা। বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে ১-৬, ৬-৩ ও ৬-৩ গেমে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন ২২ বছর বয়সী এ তারকা। ফাইনালে বাম হ্যামস্ট্রিংয়ে টেপ পেঁচিয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি।
নারী এককের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর খেলোয়াড় ওসাকা জানান, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আমি এ বছর ফরাসি ওপেনে খেলতে পারব না। আমার হ্যামস্ট্রিংয়ে এখনও ব্যথা রয়েছে। তাই আমি ক্লে কোর্টের প্রতিযোগিতাটির প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় পাব না। আমার জন্য এবার এ আসর দুটি (ইউএস ওপেন ও ফরাসি ওপেন) খুব কাছাকাছি সময়ে চলে এসেছে। আয়োজক ও খেলোয়াড়দের জন্য আমার শুভকামনা।’
তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ওসাকা রোলাঁ গারোঁয় কখনও তৃতীয় রাউন্ড পার হতে পারেননি। তার আগে ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বের এক নম্বর নারী টেনিস খেলোয়াড় অ্যাশলি বার্টি। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে অংশ নিচ্ছেন না এ অস্ট্রেলিয়ান তারকা।
পুরুষ এককে বড় তারকাদের মধ্যে থাকছেন না সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার। কয়েক মাস আগে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানো রেকর্ড ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী এ খেলোয়াড়ের চলতি বছর আর কোর্টে নামা হবে না।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ফরাসি ওপেন। স্বাভাবিক সূচিতে গত মে-জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিযোগিতাটি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
ফরাসি টেনিস ফেডারেশন (এফএফটি) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, প্রতিদিন ৫ হাজার করে দর্শককে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেবে তারা। সম্প্রতি ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে দৈনিক সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫০০ জন ভক্তকে খেলা উপভোগ করার অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা।
Comments