রোনালদোকে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে সাহায্য করবেন ব্রুনো
ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে কয়েক দিন আগে আন্তর্জাতিক গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তার সামনে আছেন কেবল আলি দাই। ইরানের সাবেক এ স্ট্রাইকারকে টপকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি হতে পারবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যোগ করার অভিযানে পূর্ণ সহায়তা থাকবে জাতীয় দলের সতীর্থ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেসের।
গত ৯ সেপ্টেম্বর চলতি বছরে প্রথমবারের মতো পর্তুগালের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন রোনালদো। নেমেই করেন বাজিমাত। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড দলকে পাইয়ে দেন দারুণ জয়। পাশাপাশি জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের গোল সংখ্যাকে ১০১-এ উন্নীত করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করতে তাকে খেলতে হয়েছে ১৬৫ ম্যাচ।
আর আটটি গোল করতে পারলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দাইয়ের ১০৯ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করবেন রোনালদো। নয়বার লক্ষ্যভেদ করলে এককভাবে হয়ে যাবেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। রোনালদোর নতুন ইতিহাস রচনার লক্ষ্য পূরণে পাশে থাকার আগ্রহ ঝরেছে ব্রুনোর কণ্ঠে।
শুক্রবার ইংলিশ ক্লাব ম্যান ইউনাইটেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের কাছে ২৬ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আপনি তার কাছ থেকে হয় কোনো গোল অথবা আলাদা কিছুর জন্য অপেক্ষা করেন। অবশ্যই, তার পাশে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই খুশি এবং আমি আশা করি, যে রেকর্ডটি তিনি চান, সেটা যেন অর্জন করতে পারেন। জাতীয় দলের হয়ে এ রেকর্ডটি অর্জন করার ক্ষেত্রে আমি হয়তো তাকে সহায়তা করতে পারব।’
গত মৌসুমের শীতকালীন দলবদলে ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর থেকে অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা ব্রুনো যোগ করেছেন, ‘১০১ (গোল)! আমার কাছে এবং আমি মনে করি, এখন বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এটি স্বাভাবিক। দেখুন, যখন কেউ তার খেলা দেখে, আর যদি তিনি (রোনালদো) গোল না করেন, তাহলে সবার অভিন্ন মত থাকে যে, তিনি একটি বাজে ম্যাচ খেলেছেন। কারণ সাধারণত তিনি সবসময়ই গোল করেন।’
উল্লেখ্য, নেশন্স লিগের ২ ম্যাচে শিরোপাধারী পর্তুগালের অর্জন ৬ পয়েন্ট। ‘এ’ লিগের তিন নম্বর গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে তারা। আগামী মাসে তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ ডেতে যথাক্রমে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও সুইডেনের মুখোমুখি হবে তারা।
Comments