পদত্যাগের কথা বিবেচনা করছেন না বার্সা সভাপতি
বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির মেয়াদ আছে আগামী বছরের গ্রীষ্ম পর্যন্ত। এরপর চাইলেই তিনি বিনা ট্রান্সফার ফিতে পাড়ি জমাতে পারবেন নতুন কোনো ঠিকানায়। এমন কিছু ঘটবে কিনা তা জানতে থাকতে হবে অপেক্ষায়। তবে সেটার আগেই ক্যাম্প ন্যু ছাড়তে হতে পারে জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউকে। কীভাবে?
মেসি ইস্যুসহ নানা কারণে ক্লাব সমর্থকদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন বার্তোমেউ। অনেকেই তাকে আর দেখতে চান না বার্সার সভাপতি পদে। তাই গণ স্বাক্ষর আদায় করেছেন তারা। বার্সার গঠনতন্ত্র অনুসারে, সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজন করতে নিবন্ধিত সমর্থকদের ১৬ হাজার ৫২০ জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ২০ হাজার ৮৬৭ জন।
যাচাই-বাছাইয়ে ১৬ হাজার ৫২০টি স্বাক্ষর বৈধ হলেই অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে বার্তোমেউকে। সেখানে যদি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট তার বিপক্ষে যায়, তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে হবে তাকে। এরপর দ্রুত নতুন সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করবে বার্সা বোর্ড।
এমন পরিস্থিতিতে বার্তোমেউকে আগেভাগে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান করেছেন অনেকে। তবে শনিবার কাতালান গণমাধ্যম টিভি থ্রিকে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে, কেউ পদত্যাগ করার কথা বিবেচনা করছে না।... আমার মনে হয়, স্বাক্ষরের সংখ্যা দেখে সবাই অবাক হয়েছে। তবে আমরা গণতন্ত্র ও ক্লাবের আইনকে সম্মান করি।’
বার্তোমেউর বিপক্ষে অনাস্থা ভোট আয়োজনের উদ্যোগ অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালেও একবার গণ স্বাক্ষর আদায়ের ডাক দিয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী অগাস্তি বেনেদিতো। কিন্তু সেবার প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, বার্তোমেউকে ইস্তফা দিতে হোক বা না হোক, আগামী ২০২০ সালের মার্চে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে বার্সেলোনায়।
Comments