তাৎক্ষণিক ব্যবস্থায় বনানী অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ নিতে পারেনি
আজ রোববার সকালে বনানীর আহমেদ টাওয়ারে আগুন লাগে। তাত্ক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে গত বছরের এফআর টাওয়ারে মতো আরেকটি ট্রাজেডি হতে পারতো বলে মনে করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
এফআর টাওয়ারের পাশেই আহমেদ টাওয়ার। গত বছর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আজ আহমেদ টাওয়ারের ১৬ তলায় রেডিংটনের (বিডি) লিমিটেডের অফিসে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সক্ষম হই। ভাগ্যক্রমে, আগুনটি ছড়িয়ে পড়েনি। না হলে, এটি আরও একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি তৈরি করতে পারত।’
তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ড শুরু হলে ভবনের অফিসগুলোতে যারা কাজ করছিলেন তারা রাস্তায় নেমে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করায় আগুন ছড়িয়ে পড়েনি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুনে তৈরি ধোঁয়া বের করে দেওয়ার জন্য ওই ফ্লোরের সকল জানালার গ্লাস ভেঙ্গে দেন।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
রেডিংটনের (বিডি) লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার ইফতেখার হোসেন খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের অফিস গত কয়েক মাস ধরেই বন্ধ এবং আগামীকাল সোমবার থেকে তাদের অফিস শুরু করার পরিকল্পনা ছিল।
তিনি বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল তা আমরা এখনও জানি না। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা পরিদর্শন করছেন।’
Comments