কাজী সালাউদ্দিনের ৩৬ দফার নির্বাচনী ইশতেহার
আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৬ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত পরিষদ’। জাতীয় ফুটবল দলকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৫০তম স্থানের আশেপাশে নিয়ে আসার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছে তারা।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেন সম্মিলিত পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ইশতেহারের ৩৬ দফাকে ভাগ করা হয়েছে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে। আগামী ৩ অক্টোবরের নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ক্লাবগুলোতে পেশাদারিত্ব আনার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। অথচ একটি দেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে থাকা সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, গতবারের প্রতিশ্রুতির ৭৫ শতাংশ কাজ তিনি করতে পেরেছেন। তবে গতবারের ইশতেহার তার দেওয়া ছিল না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের সাবেক এ তারকা ফুটবলার, ‘২০১৬ সালের ইশতেহারের ৭০-৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। ওই ইশতেহার আমার দেওয়া ছিল না। যখন ইশতেহার দেওয়া হয়, ওই মিটিংয়ে কিন্তু আমি ছিলাম না। আমি যে ইশতেহার দিয়েছিলাম, সেখান থেকে অনেক কিছু বাদ দেওয়া হয়েছিল… সেটা দিয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন (গত নির্বাচনে সালাউদ্দিন প্যানেলের প্রধান সমন্বয়ক)। তবে এবার প্রায় তিন মাস ধরে ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে।’
সালাউদ্দিনের তৃতীয় মেয়াদে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়ের ১৮৭তম স্থানে থাকা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত চারটি আসরে বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। এ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা যখন ২০০৮ সালে এসেছিলাম, তখন র্যাঙ্কিং ১৮০ ছিল। এখন ১৮৭। দেখুন, ফ্রান্স বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, কিন্তু ওরা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে না। ফিফার প্রীতি ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আর্থিক সংকট ছিল। সেকারণে আমরা প্রীতি ম্যাচগুলো খেলতে পারিনি।’
ভালো মানের নতুন খেলোয়াড়দের উঠে আসা-না আসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘নতুন খেলোয়াড় তৈরি করতে না পারার অভিযোগের সঙ্গে আমি একমত নই। তাদের কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয় না। যারা ২০-২৫ বছর আগে ফুটবল খেলেছে, আপনারা আগের সেই ফুটবলারদের নিয়ে পড়ে আছেন।’
Comments