গ্রামের শেষ পাকা স্থাপনাটিও নদী গর্ভে বিলীন
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরি উত্তরপাড়া গ্রামের অর্ধেকটাই গত দুই মাসের বন্যায় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। অবশিষ্ট ছিল একটি মাত্র পাকা মসজিদ, সেটিও আর রইল না, সর্বগ্রাসী যমুনা গ্রামের শেষ পাকা স্থাপনাটিকেও শনিবার গ্রাস করেছে।
ছোনগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সহিদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই পাঁচঠাকুরি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।
এই দুই দিনেই মূলত গ্রামের অর্ধেকটা নদী গর্ভে চলে যায়। অবশিষ্ট থাকে একটি মাত্র পাকা মসজিদ। চেয়ারম্যান জানান, শনিবার সকালে আবার ভাঙন শুরু হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ পাকা দালানটি নদীগর্ভে চলে যায়। এখন সব মিলিয়ে আর রয়েছে দুই শ বাড়ি। ভাঙনের আশঙ্কায় এদের অনেকেই এখন বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এ বছর পানি বার বার ওঠানামার ফলে ভাঙন বেশি হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে বালির ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।
Comments