মানের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল লিভারপুল
প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে সদ্য উঠে আসা লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে বেশ ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তুলনামূলক সহজ জয় পেয়েছে তারা। তাও হাইভোল্টেজ ম্যাচে। সাদিও মানের জোড়া গোলে শিরোপার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেলসিকে হারাতে বেগ পেতে হয়নি তাদের।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রোববার চেলসিকে ২-০ গোলে হারায় লিভারপুল।
তবে একটি লাল কার্ডেই বদলে যায় সব পরিস্থিতি। ম্যাচের প্রথমার্ধে লড়াই হয়েছিল সমান তালেই। উল্টো এ অর্ধে গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল ব্লুজরাই। ৩২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া টিমো ভের্নারের শট অল্পের জন্য বারপোস্ট ঘেসে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাঁচ মিনিট পর দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন এ জার্মান তারকা। নিজের অর্ধ থেকে বাড়ানো বল ধরে ফাঁকায় থাকা ভের্নারকে পাস দিয়েছিলেন কাই হাভার্টজ। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন তিনি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে বড় ধাক্কা খায় চেলসি। ফাঁকায় এগিয়ে যাওয়া সাদিও মানেকে পেছনে থেকে আটকে রেখে লাল কার্ড দেখেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন। যদিও শুরুতে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি।
১০ জনের দল নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে চেলসি। পাঁচ মিনিট জেতেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। সালাহর সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে দারুণ এক কাটব্যাক করেন রবার্তো ফিরমিনো। লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান মানে।
দুই মিনিট পর বিপদ ডেকে আনেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন তিনি। বল ধরে ফেলে মানে। আর ফাঁকায় বল পেয়ে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি এ ফরোয়ার্ড।
৬৫তম মিনিটে অবশ্য দারুণ সেভ করেন কেপা। জিওর্জিনো উইনালদামের জোরালো শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন তিনি। দুই মিনিট পর ভালো সুযোগ ছিল চেলসিরও। ম্যাসন মাউন্টের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৭৩তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জর্জিনহো। তার স্পটকিক ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। ডি-বক্সের মধ্যে ভের্নারকে ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। চেলসির জার্সি গায়ে এটাই জর্জিনহোর প্রথম পেনাল্টি মিস।
৮৩তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। বদলি খেলোয়াড় টমি আব্রাহামের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে হ্যাটট্রিক প্রায় হয়ে গিয়েছিল মানের। দূরপাল্লার অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন সেনেগালের এ ফরোয়ার্ড। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা। পরের মিনিটে সালাহও ফাঁকায় সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শটও ঠেকিয়ে দেন কেপা।
Comments