১৯ কোটি টাকার রাস্তা নষ্ট হলো ৭ দিনেই
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে গন্নাবাজার হয়ে ডাকবাংলো যাওয়ার রাস্তাটি থেকে নির্মাণের সাত দিনের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। সম্প্রতি তৈরি এ রাস্তার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৯ কোটি টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এই রাস্তাটি এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এই সড়কটির দৈর্ঘ্য ২২ কিলোমিটার। তিন বছর ধরে কাজ চললেও রাস্তাটির মাত্র চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে।
খুলনার মুজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলেও কাজ করছেন স্থানীয় ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম মিয়া। তিন বছর আগে এই কাজের টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। রাস্তার খনন ও বালি ফেলার কাজ শেষ হয় ছয় মাস আগে। এখন চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ।
চাপালী গ্রামের সিদ্দিক হোসেন বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এ ব্যাপারে নজর দেওয়া।’
সাইট ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন জানান, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে কার্পেটিংয়ের কাজ ব্যাহত হয়েছে। তফসিল অনুসারে তিন বছরের মধ্যে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটি মেরামত করে দেবে।
স্থানীয় ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম মিয়া বলেন, ‘এখানে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। রাস্তায় নলকূপের পানির প্রবাহের কারণে এই ক্ষতি হয়েছে। ৩০০ মিটার রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। শিগগির এটি মেরামত করা হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হায়দারকে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরিচয় জানিয়ে মোবাইলে বার্তা পাঠানো হলেও তার উত্তর দেননি তিনি।
Comments