গিবসনের দেখানো গ্রিপে বল ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টায় মোস্তাফিজ
টেস্ট খেলতে হলে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল ভেতরে ঢোকাতে হবে। মোস্তাফিজুর রহমান এই স্কিলের ঘাটতি নিয়ে ভেবেছেন, খেটেছেন। এবার নতুন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের দেখানো গ্রিপে আশাবাদি পথে হাঁটছেন তিনি।
কদিন আগে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকার কোচ গিবসন বলেছিলেন, মোস্তাফিজের বল ভেতরে ঢোকানোর সামর্থ্য আছে, কিন্তু বিশ্বাস নেই। সেই বিশ্বাসটা পুঁতে দিতে কাজ করছেন তিনি। বল ভেতরে ঢোকাতে না পারাতেই লাল বলের চুক্তিতে ছিলেন না মোস্তাফিজ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মোস্তাফিজের মধ্যে ইতিবাচক বদল টের পেয়েই তাকে নাকি ফের টেস্টের বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলীয় অনুশীলনের দ্বিতীয় দিনে নিজের বোলিং নিয়ে কথা বলেন মোস্তাফিজ।
শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টে ফেরার পথে থাকা মোস্তাফিজ জানালেন দ্রুতই বল ভেতরে ঢোকাতে স্বচ্ছন্দ হয়ে যাবেন তিনি, ‘করোনার আগে গিবসন আমাকে কিছু গ্রিপ দেখিয়ে দিয়েছিলেন, যে কী করলে বল ভেতরে ঢুকবে। ওটা নিয়ে কাজ করছিলাম, এখন ভালো যাচ্ছে। আরও কাজ করতে হবে, ভালোভাবে কাজ করতে পারলে ভেতরে ঢোকানোটা তাড়াতাড়ি আয়ত্ব করতে পারবো।’
করোনাভাইরাস মহামারিতে মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হওয়ার কদিন পর সাতক্ষিরায় নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। মাসখানেক আগে ঢাকায় ফিরে পুরোদমে শুরু করেছেন অনুশীলন।
প্রস্তুতির আকাশ পাতাল পার্থক্যও টের পাচ্ছেন তিনি, ‘আমি ঢাকা আসছি প্রায় এক মাস পাঁচ দিন হল। প্রথমে শর্ট রান আপে, দুই তিন স্টেপে বোলিং করেছি, বাড়িতেও করেছি। এখানে আসার পর আবার প্রথম থেকে শুরু করলাম। শুরুতে রানিং, জিম এসব ছিল পরে একজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করবে দুইজন বোলার বল করবে এভাবে শুরু হয়। এখন সবকিছু ভালোই যাচ্ছে।’
‘বাড়িতে অনুশীলনের ব্যাপারটা অন্যরকম। বাইরে যতই করেন না কেন, দলীয়ভাবে অনুশীলন করাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। বাড়িতে আমরা সবাই কম বেশি কাজ করেছি। এখানে শুরুতে কষ্ট হচ্ছিল একটু তবে এখন খুব ভালো যাচ্ছে।’
কেবল সাদা বলের চুক্তিতে রাখায় মোস্তাফিজের টেস্টে দেখার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছিল। তবে ওয়ার্কলোড সামলে এই পেসার মুখিয়ে আছেন সব সংস্করণে সমান তালে খেলতে, ‘আমিতো চাই সব ফরম্যাটে খেলতে। এখন চেষ্টা করছি ফিটনেস বলেন, বোলিং স্কিল বলেন কোন কাজগুলো করলে আমি সব ফরম্যাটে নিয়মই হতে পারি সেগুলো করার।’
Comments