তিশার ফেরা
নুসরাত ইমরোজ তিশা টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রিয় মুখ। একাধিকবার জিতে নিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বছর জুড়ে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর শুটিং বন্ধ রাখেন। দীর্ঘ ছয় মাস পর আবারও তিনি কাজে ফিরেছেন।
গতকাল সোমবার থেকে গাজীপুর জেলার পুবাইলে শুটিং শুরু করেছেন তিশা। আজও সারাদিন সেখানেই ব্যস্ত থাকবেন শুটিং করতে।
এছাড়াও নতুন একটি ইংরেজি সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছেন তিশা। তার বর্তমান সময়ের ব্যস্ততাসহ আরও অনেক বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে নুসরাত ইমরোজ তিশার সঙ্গে।
টানা ছয় মাস পর শুটিং এ ফিরলেন, কেমন লাগছে?
ভালো লাগছে। বলতে পারি ভীষণ ভালো লাগছে। এটা তো আমার ঘর। বিরতির পর গতকাল প্রথম শুটিং করেছি। অভিনয় কখনো আমার কাছে প্যারা নয়, ভালোবাসার জায়গা। কাজটি তখনই সার্থক হবে, যখন দর্শক এটাকে গ্রহণ করবেন। শিল্পী হিসেবে আরও ভালো লাগবে, যখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজটি শেষ করতে পারব।
নতুন কাজটি নিয়ে কিছু বলুন?
সকাল আহমেদের পরিচালনায় আমি ও মোশাররফ করিম কাজটি করছি। নাটকের নাম ‘রাত গভীর হয়’। নাট্যকার সাজিন আহমেদ। পারিবারিক সম্পর্কের গল্প। মোশাররফ করিমের সঙ্গে আগেও অনেক কাজ করেছি। লম্বা বিরতির পর আবারও তার সঙ্গে কাজ করছি। ‘রাত গভীর হয়’ নাটকটি ভালো লাগবে দর্শকদের।
নতুন একটি ইংরেজি সিনেমা প্রযোজনা করতে যাচ্ছেন আপনি ও মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। সে বিষয়ে জানতে চাই?
নতুন ইংরেজি সিনেমার নাম ‘অ্যা বার্নিং কোয়েশ্চেন’। আগে ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ মুক্তি পাবে তারপর এটির কাজ হবে। তবে স্ক্রিপ্টের কাজ হয়ে গেছে। গল্প হয়ে গেছে। এখানে শুধু আমরা দুজনই প্রযোজক নই, আরও আছেন। আমেরিকার একজন প্রযোজক থাকছেন এই সিনেমার সঙ্গে। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। এটা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। এর বাইরে আর কিছু বলতে চাই না।
শুটিংয়ের বাইরে দীর্ঘ সময় পার করলেন, কেমন ছিল দিনগুলো?
ভালো কেটেছে। নিজেকে এতটা সময় কখনো দেওয়া হয়নি। নিজেকে প্রচুর সময় দিয়েছি এই সময়ে। ঘরে বসে বাগান করেছি, অনেক বই পড়েছি, প্রচুর সিনেমা দেখেছি, পরিবারকে সময় দিয়েছি।
আপনার সব চেয়ে ভালো লাগার জায়গা কোনটি?
আমার ঘর, আমার পরিবার এবং শুটিং স্পট।
Comments