আজও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল সীমিত
তৃতীয় দিনের মতো শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সীমিত পরিসরে ছোট ফেরিগুলো চলাচল করছে। ১৪টি ফেরির মধ্যে পাঁচটি কে-টাইপ ও মিডিয়াম ফেরিতে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে চারটি ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে একটি ফেরি চালু হয়। এরপর থেকেই ফেরিগুলো পারাপার শুরু করেছে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিমুলিয়াঘাটে ৯০টির মতো যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে কে-টাইপ ও মিডিয়াম ক্যাটাগরির পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরিগুলো হলো— কাকলি, কিশোরি, কুমিল্লা, ফরিদপুর, কর্ণফুলী। এ ছাড়া, পরীক্ষামূলক ক্যামেলিয়া নামে একটি ফেরি চালানো হচ্ছে। রাতে ফেরি না চলার কারণে যানবাহনের বেশি চাপ দেখা যাচ্ছে না। ফেরি চলাচলের জন্য চ্যানেলের উন্নতি নেই। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি ফেরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে, যেকোনো সময় নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি আটকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। দুইটি খননযন্ত্র পলি অপসারণ করছে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, ভোর ৬টায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে চারটি ফেরি ছেড়ে যায় ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িঘাট থেকে একটি ফেরি ছেড়ে আসে। নিরাপত্তাজনিত কারণে শুধু দিনের বেলা ফেরি চালানো হচ্ছে। পদ্মাপারের জন্য গাড়ি অনবরত আসছে ঘাটে। দিনে ট্রাকের উপস্থিতি কম থাকলেও রাতে বেশি জমা হচ্ছে ট্রাক। তাই ফেরি চালুর সময় মালবাহী ট্রাকের চাপ পড়ে। শিমুলিয়ার তিনটি ঘাট সচল আছে বলেও জানান তিনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ১১টায় শিমুলিয়াঘাটে সর্বমোট ৯০টির মতো যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকে। এরমধ্যে ৬০টি পণ্যবাহী ট্রাক। ফেরি চালু হওয়ার পর ৬০-৬৫টির মতো গাড়ি ফেরির মাধ্যমে পারাপার হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আটদিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল এই নৌরুটে ফেরি চলাচল। ১১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক তিনটি ফেরি ও ১২ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ফেরি চলে। ১৩ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ফেরি চলে এবং রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে। ১৫ সেপ্টেম্বর একটি ও ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ফেরি পালের চরের চ্যানেল দিয়ে চলে। ১৭ সেপ্টেম্বর পুরোপুরি বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে পরীক্ষামূলক দুইটি ফেরি আসা যাওয়া করে চায়না চ্যানেল দিয়ে। ১৯ সেপ্টেম্বর শুধু দিনে পাঁচটি ছোট ফেরি ও ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচটি ফেরি চলাচল করে। ২১ সেপ্টেম্বর চারটি ছোট ফেরি শুধু দিনে চলে।
Comments