৬ মাস পর খুলল বালিয়াটি প্রাসাদ
করোনা মহামারির কারণে ছয় মাস বন্ধ থাকার পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঊনিশ শতকের অপূর্ব নিদর্শন-মানিকগঞ্জের বালিয়াটি প্রাসাদ।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে মার্চ মাসে প্রাসাদটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। শর্তসাপেক্ষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ, মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলতে হবে।’
রাজধানীর কাছাকাছি যে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান আছে, তার মধ্যে মানিকগঞ্জের বালিয়াটি প্রাসাদ অন্যতম। স্থানীয়দের কাছে যা বালিয়াটি জমিদারবাড়ি নামেও পরিচিত।
জানা যায়, বালিয়াটি গ্রামের জমিদার গোবিন্দ রাম সাহা ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। ৫.৮৮ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই প্রাসাদের অভ্যন্তরে রয়েছে সাতটি ভবন। প্রাসাদের পেছনেই অন্দরমহল। তারও পেছনে ছয় ঘাটবিশিষ্ট পুকুর। অন্দরমহলের ভেতরে-বাইরে রয়েছে ছোট-বড় নয়টি কূপ।
পুরো প্রাসাদটির চারদিকে সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। প্রাসাদের সামনে, দক্ষিণ দিকের প্রাচীরে রয়েছে পাশাপাশি একই ধরনের তিনটি তোরণ। প্রতিটির উপর একটি করে সিংহমূর্তি। তোরণ পার হয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে কারুকার্যময় চারটি প্রাসাদ।
বালিয়াটি প্রাসাদটি বর্তমানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সুরক্ষিত ও সংরক্ষিত। পশ্চিম দিক থেকে দ্বিতীয় স্থাপনার একটি অংশ ব্যবহৃত হচ্ছে জাদুঘর হিসেবে।
কাঠের সিঁড়ি বেয়ে জাদুঘরের দ্বিতীয় তলায় উঠলেই কারুকার্যমণ্ডিত রংমহল। বিশাল হলরুমসহ রংমহলের সঙ্গে রয়েছে আরও পাঁচটি কক্ষ। রংমহল এবং ওই সব কক্ষে শোভা পাচ্ছে জমিদারদের ব্যবহৃত গ্রামোফোন, নামফলক, ঝুলন্ত প্রদীপ, সিন্দুক, শ্বেতপাথরের টেবিল, ঝাড়বাতিসহ বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন।
প্রাসাদটির সাইট পরিচারক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, রবিবার পূর্ণ দিবস এবং সোমবার অর্ধদিবস বাদে সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে প্রাসাদ। প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা, ৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য ৫ টাকা, দেশের বাইরে সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকের জন্য ১০০ টাকা এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য ২০০ টাকা করে।
Comments