কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণে চট্টগ্রামে ৩০ বছরে ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে: গবেষণা

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণে আগামী ত্রিশ বছরে ত্রিশ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে জানিয়েছে এনার্জি ও বায়ু নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ)।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ তথ্য তুলে ধরেন সিআরইএ’র প্রধান গবেষক লৌরী মিলিভার্তা। ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।

মিলিভার্তা বলেন, দশটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যার মধ্যে দুটি চট্টগ্রামে প্রায় দশ হাজার টনের মতো ফ্লাই অ্যাশ তৈরি করবে যার মধ্যে থাকবে নানা ধরনের তেজষ্ক্রিয় পদার্থ।

এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দূষণের যে আন্তর্জাতিক মানমাত্রা সেটা অতিক্রম করবে জানিয়ে এ গবেষক বলেন, ‘ভারতে বাতাসে সালফারডাই অক্সাইড নিঃসরণের মানমাত্রা হলো প্রতি কিউবিক মিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রাম, ইউরোপে এটি ৭৫ আর চীনে ৩৫। সেখানে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতাসে যে সালফারডাই অক্সাইড ছাড়বে সেটা প্রতি কিউবিক মিটারে ৮২০ মাইক্রোগ্রাম।’

‘এছাড়াও এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে মার্কারি তৈরি হবে সেটার পরিমাণ বছরে ১৬০০ কেজি যা নদী, সাগর,  কৃষিজমিতে মিশে যাবে। এছাড়াও পরিবেশের নিজস্ব বাস্তসংস্থানতন্ত্রেও প্রবেশ করবে। এসব মিলিয়ে আগামী ত্রিশ বছরে দূষণজনিত কারণে ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটবে,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, এ দূষণে ৪১ হাজার মানুষ ও ৩০ হাজার শিশু শ্বাসকষ্টের রোগে ভুগতে পারে।

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

সরকারকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিকল্প খোঁজার তাগিদ দিয়ে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশ যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ন্যায়বিচার চাইছে, তখন এরকম বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাদের সে আন্দোলনের ন্যায্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে।

Comments

The Daily Star  | English

What we expect from a people-centric health budget

We must strongly advocate for a people-centric health budget.

8h ago